হর্নি চাঁদটা ঘুরতে ঘুরতে ঢুকে যাচ্ছে পর্বতে—
এখানে শরীরে ক্লান্তি নিয়েও যারা জেগে আছে
তাদের হৃদয় ভরে গিয়েছে বিবিধ তৃষ্ণার দূষণে।
মাথাটা হাঁটতে হাঁটতে রোজ চলে যেতে চায়
যেখানে মেঘ-পাহাড়-ঝরনা দেখায় তাদের যৌনতা।
পরিশ্রান্ত এই আমি আমাকে দাও অবারিত বিশ্রাম,
শরীরকে অস্বীকার করতে গিয়ে দেখি ভেতরে
মৃত্যুর হরিণ জীবন বাচাঁতে উড়ে চলে শূন্যতায়।
চোখ চুপসে গেলে কানে বাজে নেশাখোর শব্দ
ঘ্রাণে ভরে যায় বেদনার্ত হৃদয় অবিরাম ছুটে যাই—
হে আসন্ন পতন, আমাকে লক্ষ করে ছুটে আসে
পারমাণবিক রাত ঘোরগ্রস্ত এই বহুদূরের নিসর্গে
মনে হয় প্রেমিকার গোপন আজ তীব্র অসহায়।
যদি—তবুও—এইসব দ্বিধায় হে সৌন্দর্য হে পাহাড়
করাতের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমি এক সময়
ছুরির নিচে যার নিয়তি খেলা করে ভেঙে যায়।
মৃত্তিকার কলস পতনে পতনে শিখেছি বর্ণমালা
রেখেছি এখানে হৃদয় নির্ভয় হে বন্ধু আজ নির্ভার
আমাকে আশ্রয় দিও তোমাদের সতত দৃশ্যের মাঝে।