হাড়ের গভীর হতে
সংখ্যাহীন মাছ নীরবে
পালিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ
এখানে বৃষ্টিতে নীল হয় প্রতীক্ষারা।
প্রৌঢ় আপেল নিত্য ছুটে যায় দিগন্তের কাছে—
সত্যের কাঠামো ভেঙে গেলে তখন
পৃথিবীর পাখিরা গণবিলুপ্তির
গান শোনায় আমাদের।


কেরোসিন কুপির আলোয় ছিলো যে সরলতা
প্রাগৈতিহাসিক জীবনের ব্যাপক সুঘ্রাণ
আদিগন্ত জীর্ণতায় ঝরে পড়ছে ভীষণ।
ফুলেরা শুকিয়ে গেলে করুণ
পৃথিবীর মঞ্চে নেচে উঠবে বর্বর উল্লাস;
জলের অভাবে চিহ্নহীন যেসব ঐন্দ্রজালিক নদী
মাংস ও হাড়ের মাঝে পাবে এবার আশ্রয়।


পুষ্ট ঠোঁটে ধরে রেখেছো অজস্র চুম্বন তুমি
সময় বয়ে চলে আমাদের দেহে
সবুজ সংকেতের আশায়
আটকে আছি কামনার যানজটে; অজস্র রূপসী
বৃষ্টির মতো ঘুরে ঘুরে চলে যায় তাদের উষ্ণ রাতে।
যারা জানে না রঙের উৎসব মৃত্যুর শরীর
তাদের হৃদয়ে নেই রঙিন কলস,
ঘূর্ণন ছন্দের সীমান্ত ঘেঁষে বিস্তীর্ণ ডানার সঞ্চয়
ঝরে পড়ে বিচিত্র নকশায়।


তৃষ্ণায় ছুটে যাবে যেখানে ভেঙে যাবে বুক—
হৃদয়কে চালিত করো তাই বিবিধ অন্ধকারে
কৌশলে যারা চলে যায় ফলের অধিকার নিয়ে
শিখে নেয় তারা সাফল্যের বীজ।
বিপুল জীবনের মোহে যারা বেঁচে থাকে
গলিত গতির কাছে শিখে নেয় হৃদয়ের গোপন,
ল্যান্ডফিল বুকে নিয়ে ঘুরছে যারা
হারাচ্ছে সুপ্রাচীন ক্লেদ রাজ্য রাজহাঁস।


ক্রমাগত পাঠের নেশা ভুলে হাত বাড়াই—
সৈকতে সৈকতে লাল কাঁকড়ার স্নিগ্ধতা
জীবনের এই সন্ধ্যায় এসে প্রতিদিন উত্তর খুঁজি
প্রতিদিন রঙের ভেতরে ঢুকে পড়ছে দূষণ;
সন্ত চিলের মতো ডানা মেলে উড়তে উড়তে
প্রাচীন স্তম্ভ থেকে ছড়িয়ে পড়া আলো
আমাদের নিভৃত বনভূমিতে দীর্ঘ বছর শেষে
জীবনের জিরাফের সাথে চলে যায় সুদূরের ঠিকানায়।