ওষ্ঠ বাড়িয়ে দিলে পুড়ে যায় বনস্থলী—
প্রিয়তম পতন হৃৎপিণ্ডে মেখে
জড়োসড়ো হয়ে থাকি—হে শীতের রাত তুমি দীর্ঘজীবী হও
আর আমাদের পরিচালিত করো ব্যাধিতে।
যা-কিছু বলা যায় শব্দে তারও অধিক নৈঃশব্দ্য নিয়ে
যন্ত্রণা আর তোমাকে রুয়ে—স্তব্ধতার গালে গালে
এঁকে দিই চুমোচিহ্ন।


বাধা দেওয়ার মতো কোনো শক্তি নেই—
ধীরে ধীরে তাই বিদ্ধ করো—হে অতিক্রান্ত দূরত্ব
বয়েছি নিজেরই ভার উৎপাদনের উৎকৃষ্ট ঋতুতে
চারিদিকে ঝকঝকে হাড়ের হারমোনিয়াম
থেকে একদল যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ে আমাদের উরুতে আঙুলে কনুইয়ে তৈজসপত্রে।


সমুদ্র পরাজিত জীবনের অন্তহীন অমাভোরে
ফিরে এসো তুমি অলৌকিক মেহগনি
ঘষলে এখনও বুক থেকে ঢেলে দেবো একান্ত আগুন।
বনের পরিধি পেরিয়ে লোকালয়ে আসলে—হে বাঘ—হে
আমার পরাজিত স্বরূপ—স্বীকৃতির অভাবে
ঘৃণায় এবং উপেক্ষায় পাখিরাও মুখ ফিরিয়ে নেয়।