আমি একটি শব্দ ছাড়া কিছুই নই—
ঘুরতে থাকি সংখ্যাহীন শব্দের শহরে
পরিত্যক্ত পলিথিনে প্লাস্টিকে ডিমের খোসায়।


গন্তব্য না জেনেই হেঁটে চলছি রঙের ভেতরে—
একদিন জেগে উঠলে পচনশীল ফুলের পাশে
যেসব অপরিচিত মানুষের ভাষায় বেঁচে রবো
পৃথিবীর জলজ উষ্ণতায় পাবো সতেজ স্বাদ।


পৃথিবীর শাদা পৃষ্ঠার ওপর অনেক গল্পের ভীড়ে
যেসব মাছেরা গিয়েছে হারিয়ে জলের তৃষ্ণায়
তাদের আমি দেখেছিলাম ইতিহাসের আয়নায়।
রাতের শরীর থেকে মাথারা উঁকি দেয় ঊর্ধ্বে
আরও গভীরে যেতে যেতে ওপরে ভেসে উঠলে
আকাশ আর মাটির মিলনের সম্ভাবনা ফুরিয়ে আসে।


ভেতরে রোদনবাঁশি নিয়ে যে জীবনেরা ঘুরে বেড়াই
যাদের বুক গল্পের বেদনায় বেদনায় সুপক্ব ফলের
মতো ঝরে পড়ে পৃথিবীর নগ্ন কাঁদায়
কে দেবে তাদের আশ্রয় বুকের উপন্যাসে?
যারা গল্পের পাখি পুষে মারা যায় প্রতিটি মুহূর্তে
তারপর একদিন মুক্ত হয়ে সেইসব পাখিরা উড়তে উড়তে উড়তে উড়তে—
সুতীব্র বেদনার ঘ্রাণে ভরে যায় ফুসফুস।


রক্তের গভীর থেকে শুনতে পাই পতনের চিৎকার
করোটি জুড়ে শব্দের বাঘেরা করে যায় গর্জন
হরিণ-জীবন আমার দৌড়াতে দৌড়াতে ঢুকে পড়ে জ্যামিতিক জটিলতায়।
জীব ও জড়ের মাঝে আমি এমনি এক আত্মা
স্বপ্নের সাধনায় সাধনায় কেটে গিয়েছিলো যার জীবন।