এই প্রান্তে দিন নেই
রাতও নেই অনেকের
তবুও সরীসৃপ ভুল করে চলে আসে বিস্তৃত সীমানায়;
শুরুও নেই
শেষ হওয়ার প্রতীক্ষায় ফুরিয়ে এলো সব:
জ্যামিতিক চুম্বন
পালকের রঙ
এবং স্বচ্ছ দিঘির মাছ।


কারা যেন না বুঝেই চিৎকার করতে করতে
চলে যায় বিষণ্ণ বিকেলের কাছে—
নরম শান্তির বাতাস
খেলা করে জলের সাথে
বর্ণালি শস্যের ক্ষেতে যখন অদ্ভুত মাদকতা নামে
তখন কেউ কেউ মেতে উঠে উৎসবে;
রাতের শরীরে সুখে থেকো তুমি
জাগতিক এই কষ্ট হৃদয়ে নিয়ে ক্ষমাহীন অপচয় শেষে
যেন ফিরে আসতে পারি প্রথাগত দর্পণে—
নেচে যাও যত পারো দুঃস্বপ্ন তুমি।


ডিম পাড়া শেষ হলে কতিপয় ডাইনোসর
ঢুকে যাবে আমাদের কল্পনায়
বেদখল হওয়া স্বপ্ন উদ্ধারে
যারা গিয়েছে ছুটে
তাদের পিঠে আজ দিগন্তের অভিশাপ,
এসবের মাঝেই দীর্ঘ একটি আকাশ পেয়ে গেলে
লিখে ফেলবো যৌথ ইতিহাস
সেই ইতিহাসের বিচিত্র পথ পরিক্রমায়
কত নদীর বুকে নেমে আসবে শূন্যতা
কত বনের বুকে গড়ে উঠবে নগর!


তারপর কোনো এক ঘোড়া শাবক তার তৃষ্ণা নিয়ে
ছুটে আসবে আমার বেডরুমে—
দেয়াল থেকে এক ঝাঁক হায়েনা
বাজাবে বাঁশি;
দ্রুতগামী গাড়ি সেতু অতিক্রম করে চলে যাবে অন্য শহরে
সংখ্যাহীন এম্বুলেন্স গোলাপ নিয়ে
যখন দাঁড়াবে সময়ের নীল দাঁতের সম্মুখে
ক্ষমাহীন এই প্রান্তরে
যেদিন উড়েছিল আমারও বিজয় পতাকা
আজ কিছুই নেই বলে
ধীরে ধীরে শীত নেমে আসবে গভীরতম শরীরে।