একটি হলুদ কিংবা নীল কিংবা ধূসর হাতি
সভ্যতার উৎপাত ভুলে চলে যায় বিস্তীর্ণ বনভূমিতে—
স্বপ্নবৎ নেই আর কিছুই
জলের তীর্থে যারা প্রতিদিন ভীড় করে, হল্লা করে
মৃত পাখির পালক ঘিরে তারা পান করে আকণ্ঠ সান্ত্বনা
অথচ যারা আঙুলে আগুন জ্বালিয়ে হেঁটেছে আদিগন্ত
হাড়ের রসে পুষ্ট যেসব বৃক্ষ জন্মাবে বলে
বৃষ্টি ও স্নিগ্ধতার কাছে করেছিলো প্রার্থনা
তাদের শরীরে আজ শস্যের বিকৃত অন্ধকার।


স্নায়ুরে ভেতরে উড়ছে কতিপয়—
তাদের ডানার নকশা জলের গভীরে ভেসে ওঠে।
খড়কুটোর পাশে কুয়াশার সুদীর্ঘ মিছিল পেরিয়ে
যারা বিনিময় করে জীবনের হরেক রকম রঙিন
তাদেরও ক্লান্ত হতে হয়, হতে হয় সর্বংসহা;
অভাবের বিপরীতার্থর্কতা মনে রেখে
গেয়েছি গান অতৃপ্ত
নরকের।


ছুড়ে মারার পর মায়াবী পাথর
ঘুরে ঘুরে এখানেই পড়ছে অন্তহীন—
সংখ্যার সাথে তাল মিলাতে মিলাতে
প্লাটফর্ম ছেড়ে চলে যায় নেশাগ্রস্ত সবুজ সংকেত
কিংবা মিশে যায় অন্য কোনো রঙের সাথে, জ্যামিতিক
উৎসবের সাথে।
আলো থাকলেও আমরা কেউ কেউ অন্ধ হয়ে—
সময়ের মাকড়সা বুনে যায় তার জাল
কয়েকটি জীবিত প্রাণ খাদ্য হবার অপেক্ষায়
থাকতে থাকতে সূর্যটা এভাবে ফিরে আসে রোজ—
পৃথিবীর রণক্ষেত্রে আবার হবে এইসব পরিচয়।