দেয়ালের জরায়ু হতে জন্ম নেয় মৃত্যু
ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে বর্ণমালায়—
ভাষা হয়ে ফিরে আসে স্নায়ুর বাসায়।
একটি ডানাবিহীন নীল পাখি উড়ে যায় সন্ধ্যায়
রঙের কথা মনে হলে
মনে পড়ে
শৈশবের সেই হাঁসটি আজও বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।


একা হয়ে ওঠেছি সঙ্গের গুণফলে
নিজেকে ফটোকপি করতে করতে
নিজেরই কাছে এখন বড্ড অচেনা।
স্বপ্ন হতে গিয়ে দুঃস্বপ্ন হয়ে যাই
যাকে চেয়েছি শরীরের সমুদ্রে
ছুঁতে গিয়ে বিভ্রমে পড়ে যাই
পাওয়া না-পাওয়ার মাঝে নিত্য দুলছি এই পেন্ডুলাম।


মানুষের এই কাঠামো খুলে নাও আমার শরীর হতে
প্রিয়তম শব্দ বাক্য স্মৃতিগুলো মুছে দাও,
সময়ের উৎসবে সবাই শরীরে উৎপাদন করছে সুখ
আর আমি উৎপাদন করছি নিদারুণ যন্ত্রণা।
নৈঃশব্দ্যের ভেতরে তুমি এক শব্দ
নৈঃসঙ্গ্যের মাঝে তুমি এক সঙ্গ
তবুও নিয়তি—
প্রণয়ের এই প্রার্থনালয়ে
আমাকে কাটাতে হবে তুমিহীন এক নরক-যৌবন।