স্নায়ুতে সিংহেরা ঘুমিয়ে গেলে ঢুঁড়ে দেখি
কিছু জিরাফ বাড়িয়ে দেয় তাদের গ্রীবা—।
চারিদিকে ঝকঝকে অস্থির অন্ধকারে—লেবু গাছের পাতা
ভেদ করে ছড়িয়ে পড়ে প্রক্ষিপ্ত হাহাকার;
আনারস বাগানের বধিরতা ভেঙে গেলে—নগরের কোন
এক ব্যস্ত রাস্তায় তোমার চিৎকার—পাখিদের কিচিরমিচির
ও জনস্রোতের প্রবল স্বননে ট্রেনের হুইসেলে বৃষ্টিতে
করাতের বিকটতায়—শব্দও আজকাল শব্দহীন হয়ে—বিবেকের গহীনে কুম্ভকর্ণ সেজে বসে আছে।


জলের বিষাদে ক্লান্তিকে লেছে দিয়ে চলে যাই—
টমেটোর খেতে কিছু হলুদ সিগারেট টানতে টানতে
দ্বিধা আর সংশয়ে এড়িয়ে চলে লোকাকীর্ণ আস্বাদ।
ঘ্রাণে ঘ্রাণে স্নিগ্ধমতী হলে—চিপসের প্যাকটের পাশে
কিছু খণ্ড আলো কিছু খণ্ড অন্ধকার নীরবতা ভেঙে
ছড়িয়ে দেয় ফলের সুঘ্রাণ—ফুলেরা নিয়েছে বিদায়।


লক্ষিত দেয়ালে তুমি ভেসে উঠলে—হঠাৎ একটি চিল
থাবা দিয়ে নিয়ে যায় জীবন—বনস্থলী জীবনের স্বাদ
ফুরাতে ফুরাতে—আমাদের সংকোচিত বেডরুমে ব্যাঙ
ডেকে উঠে—গাছে গাছে বেড়ে যায় দুরারোগ্য ক্ষত।
দাঁতের প্রতিভা কমে গেলে মাংসের প্রতিরোধ বেড়ে যায়—
তোমার স্ফীত শরীরের কারণে যেসব পোশাক আজও
পরিত্যক্ত—আমিও—ছুড়ে দিলে মৃত বাঘের পাশে একদল হরিণও শুঁকে নেয় বাঘের স্বাদ—সতেজ ঘাস।