শূন্যতার দিকে ঢিল ছুড়ে মারতেই
সংখ্যাহীন মৌমাছি ফুটালো সৌন্দর্য—
অমৃত ব্যথা নিয়ে জেগে থাকে সমকোণী ত্রিভুজ।
তবুও আশায় আশায়
জীবনের জল শুকিয়ে যায় মৃত্যুর তৃষ্ণায়;
যদি পেয়ে যাও বিকেলের শেষে অপূর্ব রাতের সন্ধান
যেখানে নিদ্রা আছে
আছে জীবনের পরাজিত স্পন্দন
যা কিছু নিক্ষেপ করবে এই অগ্নিকুন্ডে
আলো হয়ে ফিরে আসবে আলোহীন জানালায়।


ক্রমাগত রূপান্তরিত হচ্ছি শামুকে
ক্রমাগত ভেঙে যাচ্ছি সুতীব্র ক্লান্তিতে—
নিজেকে ঢিল ছুড়ি বোধের জলে
যদি তরঙ্গে তরঙ্গে পাই জীবনের স্বাদ।
ভেতরে এখন জঘন্য দুঃসময়
বীজের জন্য নেই কোনো সুখদ খবর
দিগন্তের কাছে ছিলো যেসব আর্তি
অনেক ঋণের ভারে গিয়েছি ভুলে—
তবুও ইচ্ছে হয় ফের জেগে ওঠে
তোমাকে জাগিয়ে দিই
নদীর পঙ্কিল পাণ্ডুলিপিতে।


তেমন কোনো প্রচ্ছদ এঁকো না তুমি
তেমন কোনো শব্দে যেয়ো না ডুবে
বৃষ্টির শব্দের কথা বলো না আমায়
বলো না তুমি পাহাড় দেখার তৃপ্তি—
অন্ধ বধির হতে হতে
যেসব জমিতে ছিলো একদিন অবাধ আবাদ
তাদের দেখা মেলে বৃদ্ধদের আড্ডায়,
তাদের চোখের জ্যোতি আজও দেখে শাশ্বত সুন্দর
জীবনের অমর নির্মল!
তবুও যদি জানতে চাও এই কাঠামোর প্রার্থনা
তবে শুধু তোমাকে বলে গেলাম:
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীবনটা আমার হোক।