ছায়ার পেছনে কখনও হেঁটে কখনও দৌড়ে কিছুদূর সোজা গিয়ে বহুদূর ফিরে এলাম। ধরতে গিয়ে ভুলে গেলাম—কেনো? তারপর ফের দৌড়াতে দৌড়াতে স্পর্শ করলাম অতীতকে। দেখলাম ভবিষ্যৎ ঝরঝর করে ভেঙে পড়লো আমার সামনে। নদী বয়ে যায়, পাখি গান গায়—এমন সহজ জীবন আর আমরা পাব না। —স্পর্শ করতে গিয়ে দেখি কয়েকটি দৃশ্য থেকে সংখ্যাহীন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়ে তারা চলে গেলো। যা কিছু রেখে গেলো তন্ত্র মন্ত্র কিংবা নৈঃশব্দ্য নৈঃসঙ্গ্য—বৃষ্টি থেকে মেঘের জন্ম হতে হতে কিংবা মৃত্যু থেকে জীবনের সূচনা হতে হতে কেউ কেউ ভালোবেসে ফেলে নিজের ছায়াকে। জলে কার ছায়া দেখে তুমি এঁকেছিলে—কীভাবে জেনেছিলে যখন তুমি কেঁপেছিলে একেই বলে ভয়! ইতিহাস দৌড়াতে দৌড়াতে চলে যায় কয়েকটি রাজহাঁসের খোঁজে। বধির প্রেমিক বসে থাকে বোবা রঙের উপকথার জন্য। বিকেলের ভেতরে ঢুকে যায় রাত, রাতের ভেতরে সকাল, সকালের ভেতরে দুপুর কিংবা আমার ভেতরে আমি, আমির ভেতরে আমি। গোলাকার আমি, চর্তুভুজ আমি। কোথাও শব্দ নেই, নেই মধ্যরাতের আদিম চাষাবাদ। করোটির গভীরে শুয়ে শুয়ে বুনে চলি শব্দের জাল। মাছ নেই—তবুও স্বপ্ন ভেঙে গেলে দেখি লাল নীল হলুদ মাছের ভীড়ে আমি এক অসহায় জাল।