মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে অজস্র বাক্য...
ভিয়েতনামের মুদ্রার নাম ডং
চায়ে থাকে ট্যানিক এসিড
'বনলতা সেন' কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৪২
আরও কত কী!
হতাশার ঘুমহীন রাত আমাকে দিয়েছে অনেক কিছু
লাল ষাঁড়ের মতো তীব্র অসহনীয় ব্যথা,
তবুও হেঁটে চলছি তীব্র গতিতে
আর মাত্র ত্রিশ মিনিট পর জীবনের শেষ পরীক্ষা।
তবুও আশা ছাড়া য়ায় না
এ নশ্বর জীবনে খানিকটা সুখের আশায়।
পাচঁ বছর পর হঠাৎ আড়দেখা তার সাথে
ঢাকা কলেজের ঠিক বিপরীতে সে দাঁড়ায়ে একজনের সাথে।
এডমিট কার্ড দেখার ছলে বারবার আড়চোখে তাকে দেখছি আর ভাবছি...
নিমেষেই ভুলে গেলাম ঘানার মুদ্রার নাম
মানবাধিকার সনদের সাত নং ধারা,
আচমকা খোলে গেলে ধুলোপড়া মনের বাতায়ন
সেইসব তারাভরা ছাত্রজীবনের উদ্বেল গল্পগুলো
হাত ধরে হাঁটা শীতের ভোরগুলো
তীব্র গরমের সময় ক্লান্ত হাতের ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাখার বাতাসের বিকেলগুলো।
খানিকটা ওজনের ভার নেমেছে শরীরে
হেয়ার স্টাইলটা ঠিক আগের মতোই রয়েছে,
বাম কপোলের তিলটা নিয়ে কত কবিতা-
ভাবতে ভাবতে ভীড়ের স্রোতে কখন যে সে চলে গেলে টের-ই পেলাম না।
বরাবরের মতো আমায় দেখেনি সে আজও
দেখলে সে-ও কী এসব ভাবতো আমাকে নিয়ে!
চুল এলোমেলো করে দেওয়ার সময়গুলো
ঠোঁটে লিপিস্টিক লাগিয়ে দেওয়া সেইসব হাসিগুলো
হয়তো ভাবতো না...।
প্রতিযোগিতার এক ঘণ্টায়
জীবনের শেষ পরীক্ষায়
তার কথা কেনইবা পড়ছে মনে!
যে পথে সুখ আছে সে পথে কষ্টও আছে
যে হৃদয়ে প্রেম থাকে বহ্নির মতো
সে হৃদয়ে বিচ্ছেদও থাকে নীল বরফের মতো।