আমার দুঃখগুলোর নখের ভেতরে এক শহর ময়লা-
বাড়তে বাড়তে মনে হয় ছুঁয়ে ফেলবে তার স্তব্ধ চিবুক,
অনেক অনুরোধেও কাটে না নখ, করে না পরিষ্কার
তার স্পর্শের আঙুল, একটি জুতো পরে রাত চারটায়
হেঁটে হেঁটে চলে যায় দুইশো সাতাশ মাইল, ফোসকা
পড়ে ফুলে যায় দুপা, তবুও তার এতটুকু ক্লান্তি নেই।
আমার দুঃখগুলো বহুদিন হলো একদম শেভ করে না-
খেতে গেলে লেগে থাকে ঝোল, দুর্গন্ধে ত্যক্ত মধ্যরাত
মনে হয় ময়লার ট্রাক থেকে ভেসে আসছে সতেজ গন্ধ
আলুলায়িত রুক্ষ চুলে ঘুরে ঘুরে বড্ড তামাশা দেখায়,
নীল শার্ট পরে টঙে বসে চা খায়, চোখে প্রচুর পিচুটি।
কতদিন হলো আমার দুঃখগুলো দাঁত ব্রাশ করে না
ব্রাশ না কি দেখতে কারও আঙুলের মতোন এই ত্রাসে
বহুদিন হলো ঘুমোয়নি, চোখের নিচে কালশিটে দাগ।
কতবার বললাম তিনবেলা ভালো করে খা, গোসল কর
সে কারও কথা শুনে না, শূন্য মানিব্যাগে ঘুরে বেড়ায়।
আমার দুঃখগুলো আয়নায় নিজেকে চিনতে পারে না
বগল থেকে ভেসে আসে কষ্টের সবচেয়ে উৎকট দুর্গন্ধ
স্নায়ু থেকে ব্রেক ফেল করে চলে আসে বেদনার ট্রাক
আমার দুঃখগুলো বহুদিন শান্তিতে ঘুমোতে পারে না
কী যেন চুরি করে নিয়ে গেলো জীবনের সমস্ত সাধ!
এখন তারা জেগে থাকে এক বুক সতেজ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে
এখন তারা শুকিয়ে শুকিয়ে হয়ে গেছে জীবন্ত কঙ্কাল
মৌন হতে হতে হয়েছে রেললাইনের সংখ্যাহীন পাথর।