সুদীর্ঘ নরকবাস শেষে, চলো, চলে যাই সুরধুনীর তীরে।
নেই ঠোঁটাঠোঁটির অধিকার, শত সহস্র রক্তচক্ষুর ভিড়ে
এই ভূমিতে হরিণেরা পলাতক। সুপ্রাচীন আয়না আছে,
হাটে হাটে ঘুরি, চিৎকার করে বলি, আসো আমার কাছে।
দ্যাখো নাও পাতাদের ব্যথা, কালিক ক্লেদ, কালো মুখোশ
মৃত নদীর হাড়, জ্বলন্ত অক্ষর, ঘুমজ্বর; হতেও পারে হুঁশ!
এখানে দেয়াল ভাঙতে ভাঙতে বিশীর্ণ আমাদের হৃদয়
এখানে সমুদ্রের আয়ুরেখা জুড়ে মুখ ও মুখোশের জয়।
আপেল বাগানের নিস্তব্ধতা কেটে, পালকের ঘ্রাণ মেখে
চলো, এবার যাত্রা করি রেলবাগানের দিকে, হঠাৎ দেখে
কিছু হলুদ রঙের দুপুর ভেঙে যাবে ঘুম, জলের কোলাহল
থেকে বিদায় নেবে সুপুষ্ট আঁধি। হঠাৎ যদি হয়ে যায় নির্মল!
তোমার কিন্নরকণ্ঠে শোনও গান, বোধে ছড়িয়ে দাও সুর,
শব্দব্যাধি আজন্ম আমার, বাক্যদক্ষতায় অক্ষম বলে দূর
থেকে বসে তর্জমা করি বসন্তের সংকেত, অলীক ভোর।