যদি মৃত্যু জেঁকে বসে আমাদের প্রাণের শহরগুলোতে
যেভাবে প্রেম জেঁকে বসেছে তরুণদের মস্তিষ্কে, মেধায়;
বোমার আঘাতে গুঁড়িয়ে যায় সুখদ ঘরগুলো, দেহগুলো
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে থাকে রাজপথে, বেডরুমে,
প্রার্থনায়; শিশুরা হারায় তাদের পাঠশালা, পাখি-অক্ষর,
মায়ের চুম্বন; বোনেরা হারায় তাদের সম্ভ্রম, সন্তান, স্বপ্ন;
মায়েদের শরীর বিদ্ধ হয় বুলেটে, শিশ্নে, শেলে, আঁধারে;
তখন, হে মানবতার হায়েনারা, কয়েকটি অশ্লীল বাক্য
আর ডোনেশন ছাড়া তোমরা কি ফিরিয়ে দিতে পারবে
আমাদের শহরগুলো, সুখদ ওষ্ঠ, রাত্রি আর গল্পগুলো?


আমরা কি মেনে নেবো বোমায় বিচ্ছিন্ন লাশের ঘ্রাণ?
অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কি আমরা পাবো না
না কি বুক বাড়িয়ে দেবো বাঘের উদ্যত নখের সামনে?
আমাদের গ্রামগুলোতে কি গোলাপের চাষ হবে না;
শিশুরা কি যাবে না বিদ্যালয়ে; বৃদ্ধেরা হাসপাতালে,
প্রার্থনালয়ে; পাখিরা কি গাবে না তাদের ঋতুর গান?
বৃক্ষ না থাকলে কীভাবে বসন্ত আসবে, পাতা ঝরবে;
তাহলে আমরা কি কবিতার বদলে লিখবো আহাজারি?
মানবতা কি তাহলে সেই নদী যা মানুষেরা বিশ্বাস করে
স্বপ্নে, ভাষায়, কিন্তু কেউ তাকে কখনো জীবিত দেখেনি?