হতাশার সবকয়টি রাস্তায়, অলিতে-গলিতে, ঘুঁজিতে হাঁটা এক মানুষ আমি
আমাকে আর ভয় দেখাতে এসো না আততায়ী সকাল।
কষ্টের সুতীব্র আগুনে পুড়ে ভুলে গিয়েছি আবেগ
মানুষের কষ্ট দেখলে উল্লাসে ফেটে পড়ি এখন
বুকের ভেতরে নেই কোনো প্রেম, মায়া, স্মৃতিঘ্রাণ।
নিঃসঙ্গতাকে খুঁজতে কতদিন গিয়েছি নির্বাসনে
নারীর ওষ্ঠের ব্যাসার্ধ থেকে ছিলাম দূরতম দ্বীপে
সবচেয়ে নিকৃষ্ট রাতে আমি হেঁটেছি একা একা
কর্মহীন থেকেছি আমি নীল বসন্তের প্রতিটি উৎসবে
মানুষের আনন্দের দিনে নিজেই থেকেছি বিছিন্ন।
হাতের নিচে ছায়া রেখে চিলচোখে খুঁজেছি প্রেম
খুঁজেছি শান্তি বুকে লুকিয়ে রেখে হলুদ ব্যাধি
বান্ধবহীন কাটিয়েছি রাতের পর রাত
উৎসবহীন কাটিয়েছি রাতের পর রাত
নারী স্পর্শ ছাড়া কাটিয়েছি যৌবনের পর যৌবন
পকেটে টাকাশূন্য কেটেছে দুপুরের পর দুপুর
প্রেমিকা গিয়েছে চলে
পরিবার গিয়েছে ভুলে
সমাজ করেছে তাচ্ছিল্য
একটি টিউশনের জন্য ঘুরেছি রাস্তায় রাস্তায়
এক বেলা আহারের জন্যে করেছি প্রার্থনা
উদভ্রান্তের মতো শহরে শহরে খুঁজেছি চাকরি
মাংস খেতে গিয়ে খেয়েছি সবজি
কোনো এক কোণে শীতের কুকুরের মতো থেকেছি রাতের পর রাত
আমাকে আর ভয় দেখাতে এসো না আততায়ী দুপুর।
সিলিং ফ্যানের ডাক ফিরিয়ে দিয়েছি
বিশতলা থেকে লাফ ফিরিয়ে দিয়েছি
ট্রেন-কাটার ডাক প্রত্যাখ্যান করেছি
যখন বুকের পশম পুড়েছে যন্ত্রণায়
মাথা দিয়ে ইটভাটার ধোঁয়ার মতো বেড়িয়েছে টেনশন
ভয়ে
অনিশ্চয়তায়
বিষাদে
ক্লান্তিতে
উৎকণ্ঠায়
তবুও পাড়ি দিয়েছি সেসব দিন সুদক্ষ নাবিকের হাতের মতো-
আমাকে আর ভয় দেখাতে এসো না আততায়ী রাত।