আয়নায় কাকে দেখছো তুমি
ঘুরছে পৃথিবী ঘুরছে মানুষ ঘুরছো তুমি
কে তাকিয়ে আছে কার দিকে
এখানে শীতের শেষে পাখিরা চলে যায়
কী ভাবছো তোমরা পরস্পর
নীলনদ আর পদ্মা তবুও বয়ে চলে চিন্তার ভেতরে
যখন ধূসর তিমি চলে আসে জনপদে
চড়ুইদের মৃত্যু পৃথিবীতে নিয়ে আসে বধিরতা
কাকে কে ভাবাচ্ছে নিয়ত চক্রে
কতদিন বুনোহাঁস খুঁজতে গিয়ে হয়েছো নিখোঁজ
কে সে যে বুনে যাচ্ছে জটিল তন্তু
আমাদের পোষাকগুলো জ্বরে ভুগছে ভীষণ
যে দাঁড়িয়ে আছে আয়নায় তার আজ কোথাও ঠাঁই নাই।
লোকটির সফল হওয়ার কথা ছিলো
কথা ছিলো ঘরব্যাভারি হওয়ার
অথচ চাঁদের আলোর নিচে হরিণের আর্তনাদ শেষে
যাদের কথা ছিলো তৃণভূমি ছেড়ে যাবে
বিষুবরেখা বুকে নিয়ে এইসব ক্লেদজ দৃশ্যের ভেতরে
যারা চাষ করবে গুচ্ছ গুচ্ছ রঙিন—
কে ব্যর্থ আজ বহু বছর পরে
ফের বসন্ত আসে পৃথিবীর শরীরে
সাগরে জন্ম নেয় সংখ্যাহীন আহার
এমনকি কোনো গোলাপ আছে যা ঝরে পড়ে না
এমনকি কোনো রাত আছে যার সকাল হয় না
যে দাঁড়িয়ে আছে আয়নায়
অনাহারী বাঘ মৃত্যুর দিকে চেয়ে আছে
যে দাঁড়িয়ে নেই এই আয়নায়
তৃষ্ণা মূলত দুঃখ বাড়ায় এ সত্য জেনেও
চিরকাল কিছু মানুষ ব্যর্থ হতে চায়
কারও কোথাও ঠাঁই নাই।