ঘুরতে ঘুরতে ফের ফিরে যেতে চাওয়ার বাসনায়, কেন্দ্রে—
কোথাও তুমি নেই
না আঁধারে না অন্ধকারে
বিকেন্দ্রীকরণ হতে হতে নিজেকে পাবো কোথায়?
যা-কিছু জানা ছিলো তা কিছু ভুল ছিলো কিংবা ছিলো না
গ্রন্থাগার জুড়ে সারি সারি অন্ধকারে, আলোতে
তুমি আর আমি, বধির ও অন্ধ, স্বপ্নে স্বপ্নে দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়।


খুঁজতে গিয়ে হই নিখোঁজ
অস্থির স্থিরতার মাঝে বিন্দুর সিন্ধুর আয়োজন শেষে
যাবে যাবে বলেও যারা ফিরে আসে পরিচিত হাওয়ায়
তুমি রঙিন বলেই তুমি ধূসর নও
পদ্য ও গদ্যের মাঝে আমি এক শুরু-শেষের দোলনা।


ফুলের আয়ু ফুরিয়ে আসতে আসতে যেসব বিড়াল ভুলে
যায় শিকার প্রজাপতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হে বালক ঘনিয়ে আসা অন্ধকার তারা ছুটে চলে নক্ষত্রের দিকে লাল
সূর্যের পাশে ঘনীভূত কালো রঙে মিলেমিশে যখন মেতে উঠে বর্বর আনন্দে—মেঘ হতে রক্ত ঝরে, বৃষ্টি ঝরে না।


কেউ বুঝে যাবার আগেই বানে ভেসে যাবে সমস্ত সঞ্চয়
না চাইলেও বৃষ্টি হবে, মৃত্যু হবে শিশ্ন ও স্তনের;
রঙের রঙ মুছে ফেললে—বসন্তের চিহ্ন মুছে ফেললে
যারা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চৌরাস্তায়
কোন দিকে দৌড়ে যাবে যদি দৌড়ানোর কাঠামো ভেঙে পড়ে?