শৈশবে আমিও প্রেমের পেছনে ঘুরেছি খুব একা
কেউ জেনে ফেললে পাছে লজ্জা পাবো এই ভয়ে
তৃষ্ণাকে তখন বলতে পারিনি আমি তাকে ভালোবাসি।
কৈশোরে প্রেমের জন্যে গলায় বেঁধেছিলাম তাবিজ
চৌরাস্তার মোড়ে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম তখন
রাত জেগে স্পষ্ট অক্ষরে লিখতাম প্রেমের কবিতা
নীলাকে, কখনও বলা হয়নি তাকে বড্ড ভালোবাসতাম
অথচ তার জন্যে পয়সা জমিয়ে কিনতাম উপহার।
তারুণ্যে প্রেম তার নগ্ন শরীরে প্রলোভিত করতে পারে নি আমায়
পারেনি আমাকে দাঁড়িয়ে রাখতে কলেজের সামনে,
আমার মাথায় তখন জেগে ওঠেছিলো তীব্র দ্রোহ
প্রেম এসেছিলো চিবুকের খুব কাছে, একা ধীরে ধীরে
আমি তাকে অপমান করে দিয়েছিলাম তাড়িয়ে
সে যে অভিশাপ দিয়ে গেলো সে দীর্ঘ বর্ষার রাতে-
তারপর আজও আমি মুক্তি পাইনি সেই অভিশাপ হতে।
এই প্রেম আমাকে, যৌবনে, এমনকি পড়ন্ত যৌবনেও
কানে ধরা বালকের মতো দাঁড় করিয়ে রেখেছে লেডিস হলের সামনে
রাস্তায়, শপিংমলে, বাজারে, ছাদে, উৎসবে, সবখানে
আমাকে সে করেছে অপমান, বন্ধুরা বলেছে পাগল-
সবার মাঝে সে আমাকে করে রেখেছে তীব্র, তীব্র একা
আমাকে দিয়ে পাবলিক প্লেসে করিয়েছে সোরগোল
প্রভুভক্ত কুকুরের মতো ঘুরিয়েছে এখানে সেখানে।
এখনও, প্রতিরাতে আমাকে জাগিয়ে রাখে সারারাত
কতবার প্রেমে পড়েছি, কতজনকে ভালোবেসেছি
ভালোবাসা তবুও পাইনি, প্রেম তবুও আসেনি কাছে
সেই শোকে সেই শাপে মানুষ থেকে বৃক্ষ আমি আজ।