বৃত্ত আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি নিজেকে
নিজেকে আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি তোমাকে
তোমাকে আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি সময়কে
সময়কে আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি শূন্যতাকে
এভাবে আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি একটি ত্রিভুজ
এভাবে আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি ভবিষ্যৎকে।
কেউ কেউ পাগল ভেবে সজোরে ঢিল ছুড়ে মারে
কেউ কেউ শেষ কবি ভেবে আমার জন্য কান্না করে
আমি এঁকে চলি নদী নারী পাহাড় মেঘ
মানুষের গোপন চিন্তা বাসনা লোভ স্বপ্ন যৌনজীবন
শহরে শহরে রটে যায় আমার কথা
ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় আমার অক্ষমতা।
আমি আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি মানুষের মুখোশকে
আমি আঁকতে আঁকতে একে ফেলি শোষণের দূষণকে
আমি আঁকতে আঁকতে এঁকে ফেলি রাত্রির গোপনকে
আমার চারপাশে ভীড় করে আপামর জনতা
আমাকে ঘিরে তারা নৃত্য করে
আমাকে ঘিরে তারা উল্লাস করে
আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
কেউ একজন বলে আমার ভবিষ্যৎ এঁকে দিন
আমি তখনই তার ভবিষ্যৎ এঁকে দিই
অন্য একজন বলে আমার কষ্টগুলো এঁকে দিন
আমি তার কষ্টগুলো এঁকে দিই
অন্য আরেকজন বলে আমার সাফল্যকে এঁকে দিন
আমি তার সাফল্যকে এঁকে দিই
তারা আমাকে ঘিরে রাখে স্লোগানে স্লোগানে
তারা আমাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে আনন্দে।
তারা বিশ্বাস করে আমিই শেষ কবি
তারা বিশ্বাস করে আমিই তাদের কবি
অথচ, নারী, তোমাকে আঁকতে গেলে আমি প্রেমিক হয়ে ওঠি।