চালকের আসনে আজ কতিপয় বালক—
বিকল্প নেই বলে
যারা নেমে যাবে তারা স্বপ্নে পাবে সুবিশাল হাঙর।
সুদীর্ঘ অন্ধকার পাড়ি দিয়ে যেসব আলো এসেছিলো ঘরে
বাঘের রাজ্যে বসবাস করেও যেসব হরিণ গেয়েছিলো গান
পৃথিবী আজ কেবলি এক ধূসর শ্মশান।


যেন সবাই চিতাবাঘ
দৌড়াতে দৌড়াতে ছুঁয়ে ফেলবে নরকের স্তন;
আজন্ম এক শিশু বুকে নিয়ে দেখে যাই পৃথিবীর দূষণ—
মাংসের দোকানের সেই কুকুরের মতো
বসে থাকি এক টুকরো মাংসের প্রতীক্ষায়
মানুষ এমনই কসাই সবাই শুধু আরও মাংস চায়।


নাগরদোলায় ঘুরতে ঘুরতে দেয়াল থেকে সংখ্যাহীন ঘোড়া
চলে যাচ্ছে জেলে থেকে জালের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে
সুদীর্ঘ বসন্তের আশায় তুমি বুঝে যাবে বৃত্তের ক্ষেত্রফল
ইতিহাসের অন্ধকারের ভেতরে মাছের আজ অতিষ্ঠ
যারা বেঁধেছিলো ঘর—তুষারাবৃত আজ আমাদের মগজ।


চালকের পরিবর্তন হবে
ফাঁকা শ্রেণিকক্ষ ফের ভরে উঠবে হল্লা আর আনন্দে
মারা যাবে সংখ্যাহীন পতঙ্গ
কিন্তু মাকড়সা কি কখনও ভুলে যাবে বুননের প্রতিভা?


চতুর্দিকে আজ ভাঙনের শব্দ শুনি
মূর্খরাই জয়ী মূর্খতাই জয়
সভ্যতা যেন মেকাপ করা এক ফ্যাশন মডেল।
কুকুরের মৃত্যু করুণা জাগালেও মশার মৃত্যুতে
আমরা সবাই নিস্পৃহ—
আমাদের স্নায়ু থেকে চলে গিয়েছে বসন্তের কোকিল।