পথে পথে শুয়ে আছে সময়ের কঙ্কাল
আমাদের আদরের জিনিসপত্র
শীতের শিশির থামানোর ক্ষমতা আমাদের নেই
নেই সমুদ্র খনন করার ধৈর্য
তাই দিন দিন অসহায়ভাবে বৃক্ষ হয়ে ওঠি।
একদিন শরীরে আবিষ্কার করলাম যৌবনের চিহ্ন
ধীরে ধীরে ছোট হয়ে গেলো শৈশবের প্রিয় শার্ট
তারপর কত শত গোলাপ ঝরে গেলো শরীর হতে।
যৌবনে একদিন এক ছিনতাইকারীর পিছু পিছু
দৌড়েছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা যেন এক বুনো ঘোড়া
অথচ যে ছিনতাইকারী ছিনতাই করলো
আমার শৈশব
                আমার কৈশোর
                                   আমার যৌবন
তার পিছু পিছু কেনো পারি না দৌড়াতে আজ?    
কেনো এই নিষ্ঠুর মেনে নেওয়া
কেনো এই অসহায় গ্রহণ করা
আমরা দিন দিন প্রস্তুত হচ্ছি ঝরে পড়ার জন্য
অথচ আমরা ঝরতে চাই না
অনন্ত বসন্ত জুড়ে সবুজ থাকতে চাই পৃথিবীর ওষ্ঠে।
রাতের আয়নার সামনে সন্তপর্ণে দাঁড়াই
দেখি আমার ভেতরে নীল দ্বন্দ্বের যুগপৎ বসবাস
আমি এড়াতে চাইলেও পারি না
আমাকে এড়াতে চাইলেও পারে না।
চুলগুলো কষ্টে কষ্টে যাচ্ছে পেকে
অসুখে অসুখে ভরে ওঠছে ফুসফুস
দাঁতগুলো নড়ে ওঠছে সময়ের ছোঁয়ায়
আমরা ক্রমাগত হেঁটে চলছি শূন্যতার দিকে।