যেকোনো দিকে চলে যাওয়ার স্বাধীনতায়
কোনো দিকেই শেষতক যাওয়া হয় না—চিরদিন কান্না অধোগামী।


সময়কে বিশ্লিষ্ট করে দেখেছি—
সিংহেরা রৌদ্রস্নাত হয়ে
গোলাপের নেশায় ছুটে আসে আমাদের বেডরুমে।
কিছু বাতাস হেমন্তের গান পকেটে নিয়ে
অপেক্ষা করে তোমার গলিতে
আর আর্কটিক থেকে একটি জাহাজ অজস্র বিষণ্ণতা বোঝাই করে ঢুকে যায় আমাদের স্নপ্নে
শপথ আগুনের ও উৎকৃষ্ট দুধের
তোমাকে না পেলে
অর্থহীনতার ভেতরে রুয়ে দেবো সারি সারি দীর্ঘশ্বাস।


তামাটে দুপুরের জলে কিছু মাছ লাফ দিলে
ছন্দে ছন্দে লেখা হয়ে যায় আসন্ন পতন
আর তোমরা ক্লান্ত হবে
নির্বাসিত হবে কোমল স্বাদ থেকে।
খিদে পেলে অপ্রকাশিত কষ্টগুলো বিস্কুট খেতে খেতে
শুয়ে থাকে স্নায়ুর খাটে
আর কিছু মশক সঙ্গমের উৎকৃষ্ট তাড়নায়
ডেকে আনে আমাদের গোপনীয় জ্বরগুলো।


যেকোনো দিকে কাছে আসার স্বাধীনতায়
কোনোভাবেই শেষতক কাছে পৌঁছানো যায় না—চিরদিন বাসনা ঊর্ধ্বগামী।