নিরুপায় তাকিয়ে আছি শূন্যতার মাঠে—
মস্তিষ্কের ভেতরের বৃক্ষগুলো চায় অনাবিল আলিঙ্গন।
যে আমাকে পান করে বেড়ে উঠেছে
সাজিয়েছে ফুলের অমল শোভা
জীবনের উৎপাদন থেমে গেলে চলে যায় প্রিয়তম শব্দ।
বেদনার বিস্তীর্ণ পোশাক ভেদ করে আলো আসে
নরম জীবনের ঢেউ বয়ে চলে খেলাঘরে,
জীবনের অর্থ খুঁজতে খুঁজতে যাদের জাগে বিস্ময়
পরাজয় আর জয়ের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে
যারা বুঝে নেয় নিয়ত পরিবর্তনের প্রভাব
তারাও আগলে রাখে মাটির সন্তান, হৃদয়ের ক্ষুধা।
মুক্ত হওয়ার আগে স্বপ্ন উড়াবে বলে
রুদ্ধ ফুসফুসে বপন করে নিও প্রত্যাশা,
হায় আশাহত এই ভঙ্গুর সূর্যাস্ত
লাঙলের বেদনা হৃদয়ে নিয়ে ভেদ করো দুর্গম মাটি
আর যারা করে উপবাস তাদের তুমি দাও দাউদাউ।
অমানিশায় যে জেনেছে সুউচ্চ পাহাড়ের জীবন
যে শপথ করেছে বিপদগ্রস্ত সৌন্দর্যের একনিষ্ঠতায়
তাকে তুমি দিও আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা।