কোথায় যেতে পারি এই আমি, কোথায়—
যখন যাবার মতো নির্জন কোনো স্থান নেই
নির্জনতার প্রতীক সমুদ্র কিংবা পাহাড়ে পাহাড়ে
পরিত্যক্ত পলিথিন চিপসের প্যাকেট দেখে ফিরে আসি,
ভীষণ তৃষ্ণা নিয়ে চেয়ে থাকি
কেউ যদি বলে চলে এসো এক্ষুনি
যাবার মতো মানবিক কোনো দুপুর নেই
গল্প করার মতো সুখদ কোনো সঙ্গী নেই।
কোথায় যেতে পারি শান্তির খোঁজে, কোথায়—
যখন পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালাই হৃদয়ে
যত্নের হাহাকার নিয়ে মারা যায় ঊর্ধ্বমুখী বৃক্ষ
বেহাত বেদনার সুতীব্র অভিঘাতে দুমড়ে যায় শরীর।
পৃথিবীর শরীরে জীবাণুর কষ্ট স্মরণে রেখেও
যখন ছড়িয়ে দেয় প্রাচীন মন্ত্রের মতো ঘোর
তখন সময়ের ঘাতক কাঁটা কাঁধে নিয়ে এই আমি
একটি রাতের সুখের কামনায় করেছি নিরন্তর প্রার্থনা
ঝরে পড়া পাতাদের সাথে গেয়েছি মৃত্যুঞ্জয়ী গান
সূর্যের দিকে তাকিয়ে জপেছি দুর্বোধ্য সব শ্লোক।
অমানবিক সময়ে কোথায় পেতে পারি মানবিক মুহূর্ত
গোলাপের মৃত্যুর সময় কোথায় পেতে পারি তার ঘ্রাণ
কতদূর হাঁটতে পারি ক্লান্তির ক্লেদ দুপায়ে এড়িয়ে
মানুষ যখন বোমা ফেলে নস্যাৎ করে মানুষের ঘর
নদীর রক্তে ঢেলে দেয় তাদের নাগরিক দূষণ,
প্রেমের পরিবর্তে যে সভ্যতার শহরে শহরে গড়ে ওঠে
সমরাস্ত্রের কারখানা, ঝংকৃত হয় বুলেট ট্যাংক ফাইটার
সে সভ্যতার কোন ঘরে পাবো আমি অমল আশ্রয়
সে সভ্যতার কোনো হৃদয়ে পাবো নির্মোহ ভালোবাসা
কোন মানবী আশ্রয় দেবে তার বুকে অগাধ আস্থায়?