জানি না কীভাবে পেরোতে হয়, নৈঃসঙ্গ্যের শামুক,
পুরুষরাতের এই হাহাকার, এই তপস্যার কুহক
কয়েকটি পাখি ওড়ে ওড়ে শুধু সুখের কথা বলে
স্বপ্নের কথা বলে, দেয়ালে দেয়ালে প্রেমের উৎপাত
বধির সময়ে আমার মৃত্যু ঘনিয়ে আসে, স্বাগতম।
ধ্বনিহীন এই আমাকে কীভাবে দেবে বর্ণের আস্বাদ
কীভাবে শোনাবে, যখন চারিদিকে পতনের উল্লাস
ইটের বুকে কান পেতে শুনি দগ্ধতার কারুকাজ
স্তব্ধ দেয়াল ফেটে ঢুকে পড়ে হাহাকার, আর্তি—।
শূন্যতার দিকে তাকিয়ে থাকি, পুড়ে যায় অমল আঙুল
পুড়ে যাবে প্রিয় পানির বোতল, রাতের বালিশ তৈজস
আহত সন্ধ্যার মোড়ে যত্নহীন আমার দু’চোখ
খুঁজে বেড়ায় তোমাকে, এলোমেলো চুলের ভেতরে
ঢুকে যায় কর্কশ রোদ, বিশ্বাসে হাত বাড়াতেই
পৃথিবীর সব ফুল ঝরে যায় আমারই অন্ধকারে।
নৈকষ্টের গ্লানি নিয়ে, মানুষ হওয়ার সুখ ভুলে, হাঁটতে
হাঁটতে চলে আসি, চলে যাই গণিতের কাছাকাছি
যারা প্রার্থনা করে উষ্ণ রাতের, উত্তম ফলের ঘ্রাণের
সুখদ রাতের কিংবা যারা পেয়ে যায় আমের ঘ্রাণ
পুষ্ট ভাত, পাখির মাংসের স্বাদ, নমস্য জীবন আমার
পেয়েছি ঝরা পাতার সাথে ঝরে পড়ার ইতিহাস।