কতদূর যাবে তুমি পায়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে আর—
পথ তুমি হাঁটিয়ে নাও আমায় যতদূর গেলে পরে
মানুষের জঞ্জাল হতে মুক্তি পাবে আমার হৃদয়।
বিদীর্ণ শরীর আমার, ক্ষত-বিক্ষত হই বারবার
মোহে নয়, সরল বিশ্বাসে যাদের দিয়েছি সময়
ফুরালে প্রয়োজন সবাই ছুড়ে ফেলে এই পলিথিন।
আমার আঙুলে স্পর্শ আছে, বর্ষার বৃষ্টির স্নিগ্ধতা
আছে উদাস শার্টে, তবুও কেনো নদী ঘৃণা করো
রেখে চলে যাও বহুদূরে, উড়ে উড়ে স্বপ্নস্থ বাসরে?
আমার ঠিকনা আজও রয়ে গেছে অমলিন স্থায়ী
যারা রঙ নিয়ে খেলা করে তাদের হৃদয়ের মতো
হতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাই মৌলিক গগনে,
পাখিরা জানে না আমার সুকোমল খাদ্যের সন্ধান
তুমিও জানোনি, ভীড়হীন এই জীবন তাই সয়ে
সয়ে হয়েছি আমি আজ পাথরের আমৃত্যু সহোদর।
তোমার পথে পথে রাজসিক বিহার, আমাকে চালাও
তুমি যেদিকে চলতে মন চায় তার বিপরীত মেরুতে
যাকে তুমি দাও দাউদাউ সে জ্বলে আমৃত্যু তৃষ্ণায়।