আমি বেছে নিয়েছি দৃষ্টিহীনতার অভিশাপ—
যতক্ষণ না তুমি এসে দাঁড়াও শব্দহীন আলো হয়ে,
আমার শিরার ভিতরে উথলে ওঠা এক মাত্রিক স্পন্দন।
তুমি আছ, অথচ নেই—
এই অনুপস্থিতির মধ্যেই আমি পেয়েছি এক শুদ্ধ উপস্থিতি।
পৃথিবীর সমস্ত নারী যেন অনুর্বর ছায়া—
তোমার অনুপমতার মুখে তারা সব উপমা হারায়।
আমি দেখি না, দেখি না কোনো পুষ্প, কোনো চাঁদ, কোনো নদী—
দেখি কেবল এক অনাম্নী সত্তা,
যার দিকে প্রতিটি অস্তিত্ব ধাবিত হয়—
যেন ধ্যানের কেন্দ্রে জেগে ওঠা একমাত্র অর্থ।
বাকি সবকিছু—
প্রলয়, প্রেম, প্রচার—
এই শুদ্ধ অনুসন্ধানের তুলনায়
তুচ্ছ, শব্দহীন, ছায়াহীন।
তুমি অনন্ত বিরহের মতো
আমাকে পূর্ণ করো প্রতিটি অপূর্ণতায়।
আমি অর্জুন নই,
তবু আমার দৃষ্টি শুধু এক বিন্দুতে—
তোমার অস্তিত্বের মহাকর্ষে আটকে থাকা আত্মা
যে আর কিছুতে আকৃষ্ট হয় না।
তুমি যদি কখনো জানতে—
কতটা নিঃসঙ্গ এক ধ্যান আমি ধারণ করি তোমাকে ঘিরে,
তবে বুঝতে পারতে—
এই প্রেম জন্ম-নিষিদ্ধ নয়,
বরং এক জন্মান্তরের প্রক্রিয়া,
যেখানে আমি নিজেই হয়ে উঠি
তোমার অভাবের পূর্ণতা।