তোমার জন্য হঠাৎ একটি মধ্যরাত
ভলগা নদীর জলে ভাসতে ভাসতে
তুষারাচ্ছন্ন বনের নিস্তব্ধতা বুকে নিয়ে
ছিটিয়ে দিলে বিবিধ বর্ণের আলো
বিচ্ছিন্ন জীবনের আয়নায় তুমি কাকে পাও?
ওখানে যখন তুষার ঝরে
হস্তরেখা জুড়ে সংশয়ের প্লাবন চল্লিশে
বুকের ভেতরে দাউদাউ অথচ দুচোখে
কত শত আর্কটিক গিয়েছে জমে!


ওগো স্নিগ্ধসন্ত, রৌদ্রস্নাত জীবনের এই সন্ধ্যায়
বিষণ্ণ পাখির ডানায় বেদনা ফুরালে
আমাদের মস্তিষ্ক ভরে উঠে নদী আর শস্যের ঘ্রাণে।
নিজেকে খণ্ড খণ্ড করতে করতে
হাড়ের হারমোনিয়ামে তুলি মাতম—
রক্তের ভেতরে বাঘ ও হরিণ শুয়ে থাকে একসাথে;
তোমাকে না পেলেই
নিঃশ্বাসে ও প্রশ্বাসে বেজে উঠে বেদনার সকরুণ সুর।


বিশ্বাস করতে গিয়ে জলশূন্য হয়েছে নদী
বৃক্ষশূন্য হয়েছে বন
বিশ্বাস করতে গিয়ে ভেসে গিয়েছে আশ্রয়
ভেঙেছে হৃদয়
তবুও বিশ্বাস করেছি তোমাকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে
জীবনের সব অমল ফুলের সৌরভ—
অমরত্বের প্রার্থনায় যারা হারিয়ে যায় নৈঃশব্দ্যের ভেতরে
তীব্র হতে হতে তুমি হও প্রমূর্ত।


রাতের উজোল থেকে যারা ছুড়ে দেয় মুহুর্মুহু ঢেউ
যারা তরঙ্গের বৃত্ত ভেঙে ছুটে আসে নাকের মোহনায়
হে আমার সুপ্রিয় ঘৃণা, পাঁজরে পাঁজরে মারণাস্ত্র রেখে
তুমি কেনো চলে যাও নিদ্রা আর সঙ্গমে?
যাকে চেয়েছিলাম শাদা ভাত আর নূন্যতম নুনে
ওগো প্রেম ওগো স্মৃতি ইউরোপের কোন শহরে
কোন রাস্তায় কোন নদীর তীরে তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
সূর্য লাল হলে আমাকে নিক্ষেপ করো অতলান্ত গহীনে?