বেদনার সুতোয় লিখেছি যার কথা—
ওগো প্রিয়তম পাপ
ওষ্ঠ বাড়িয়ে দাও
আমি পিষ্ট হই
অন্তহীন অনন্তকাল।
সুগভীর কণ্ঠ হতে যে গান শোনাও তুমি
পৃথিবীর ফুলেরাও জানে
নিবিড় হতে গিয়ে ঝরে যায় যে সঙ্গীত
চিরদিন আমি তাতেই ছিলাম
অবহেলিত পরিত্যক্ত।
মহাসড়কের রাতে হেঁটে হেঁটে
জেনেছি জীবনের বিবিধ অন্ধকার,
যে মাছ গিয়েছে হারিয়ে সতেজ স্নেহে
তাকে আর পাবো না
জেনেও রোজ গোলাপ ফুটে বোধের ভেতরে।
হাঁটতে থাকি অন্তহীন
আদিতম শান্তির কাছে
এ আনত মাথায় এই পরাবৃত্তীয় করজোড়ে
ওগো মৃত্যুর রঙিন কলস
আমার তৃষ্ণার কি কোনো নিবৃত্তি নেই?
বনের ভেতরে ক্রমাগত ঝরে পড়ে
হরেক রকমের মৃত্যু
বাঁচার তৃষ্ণা কতটা প্রবল হতে পারে
জানতে চেয়ো না এতটা অবেলায়
পৃথিবীর সব মঞ্চে গেয়েছি ব্যর্থতারই গান।
বসন্ত রোদন সঞ্চয় আছে তবুও
শেষ হতে হতে
বুকের পাঁজর হলুদ হয়ে যায়—
দূর থেকে মায়াময় আঙুল
বাজিয়ে চলে জীবনের ব্যাকুল
এতকিছুর পরও তবুও কেনো তোমাকেই চাই?