গ্লাসের ভেতর থেকে হঠাৎ একটি অলৌকিক বিকাল
হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় পরাবাস্তব সমুদ্রের দিকে—
তৃষ্ণা নিয়ে এই গভীর সংকটে এখন কোথায় যাই?


জ্ঞানের লাশ থেকে উড়ে আসে সংখ্যাহীন মাছি।
বিপর্যস্ত দেয়াল পেরিয়ে জীবনের এই সূর্যাস্তে
যারা এঁকে নিচ্ছে ভবিষ্যৎ
সুখ উৎপাদনের প্রতিভায় যারা আরও হচ্ছে বর্বর
খুন করে ফেলছে ঘাসের সতেজতা—
কাছে গেলে ইগল দূরে যেতে যেতে মনে হয় নিরীহ শালিক।


বেড়ে যাচ্ছে বিবিধ ব্যাধি
ওষুধ খেতে গিয়ে কোথাও ফুরিয়ে আসে অরণ্যের আয়ু;
আমাদের শহরে চার ইঞ্চি উৎসব বাড়াতে গিয়ে
কুকুরের শরীর থেকে খসে পড়ছে অন্তহীন ধূসরতা।


প্রতিধ্বনির খোঁজে গিয়েছে যারা
কথা ছিলো তৃণভূমিতে হরিণের দল আসার মুহূর্তে
অন্ধকার বৃদ্ধি পেলে
আলো হাতে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র-সম পুরুষ তাদের পাকস্থলী হতে উগড়ে দেবে রুপোলি ধাতু—
স্বপ্নের বেশে দুঃস্বপ্ন আজ আমাদের শিরায় শিরায়।


তবুও কিছু উচ্ছিষ্টভোজী স্বপ্ন দেখতে দেখতে
ইতিহাসের অন্ধকারে যেসব ঘোড়া গিয়েছিলো হারিয়ে
তাদের হ্রেষায় ফিরে আসে ধুলো আর ভস্মের কাছে।
আপাত মাছের আকার বদলে গিয়ে পরিণত হয়
বোমায়; ওখানে কিছু জনস্রোতের মাঝে কল্পিত রেখা
ভেদ করে আরও কিছু অস্পষ্টতা আরও কিছু জটিলতা
বুনতে বুনতে ঢেকে দেয় আমাদের শবচিহ্ন।