জানা নেই বর্ণমালা থাকলেই তা ভাষা হয় কি না—
বুকের ভেতরে সশব্দ উপদ্রব
চোখের আলোতে স্তব্ধ আঁধার
নিয়ে ঘুরছি যেন এক বিবর্ণ নাগরদোলা।
সময়ের ত্রিভুজ থেকে বেরিয়ে আসে সংখ্যাহীন মাছ
স্রোত ও জল নেই
তবুও যেসব নদী বয়ে চলে মানুষের গল্পে
তাদের আমি নির্মাণ করি একান্ত স্বপ্নে।
কার ভেতরে কারা জেগে জেগে
জাগিয়ে তুলে স্মৃতির চর?
জানি না
শুধু দেখি ভেঙে পড়ে নৈঃশব্দ্যে
চিন্তার কাঠামো
                       পুরাতন দেয়াল
                                              হলুদ বিকাল
নিজের ভেতরে মৃত প্রজাপতি আরও রঙিন হয়
মুক্ত হতে গিয়ে আরও আটকে যাই ভাষার বারান্দায়
পাখি কি আকাশে উড়তে পারে শুধু ডানার ভরসায়?
নক্ষত্রের বুক থেকে কতিপয় ফেরারি ঝরনা
হঠাৎ থেমে যায় তার চোখের নিচে
কতদিন প্রজাপতি হয়ে ওড়ে গেলো সময়
আমার সমস্ত বসন্তে তুমি বসে থাকো মায়া হয়ে
সবকিছু ম্লান হলে ভাষা থাকে, স্মৃতি থাকে
আর থাকে তোমার দুচোখ, এমনকি যখন
অদূরে ওড়ে যায় সংখ্যাহীন সবুজ পায়রা।
শুনবে না জানি, দেখবে না তাও জানি
নেবে না তুমি আমার ক্লান্তির ঘ্রাণ
ইন্দ্রিয়ের ওষ্ঠ থেকে খসে পড়ে নীল আপেল—
তবুও বিকৃত বিকেলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে
তোমাকে শুনাবো আত্মপতনের গান।
চারিদিকে তাকিয়ে আছি
চারিদিক তাকিয়ে আছে
স্থানহীন সময়ের যোনি থেকে বেরিয়ে এসে
নিজেকে ফিরাতে চাই সহজ পথে।
যখন ফিরেছি বলে ভ্রম হয়
আত্মমগ্ন দুপুরে এঁকে চলি নরকের দিগন্ত—
তখন মনে হয়
শূন্য গ্লাস থেকে পান করছি আকণ্ঠ পূর্ণতা
পূর্ণ গ্লাস থেকে পান করছি জীবনের শূন্যতা।