তিন তলা বাসার ছয় তলার
কোনো এক মলিন-রঙিন কক্ষে
তুমি শুয়ে আছো।
এখানে ঘনঘোর অন্ধকারে
পাই জীবনের স্বাদ,
দূর-পাহাড়ের বুক থেকে ছুটে আসে দুঃস্বপ্নের তিমি
এবং হঠাৎ জলে প্রতিফলিত হলে তুমি
অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টে থেমে যায় বিবিধ যন্ত্রণা।
রঙিন রুমাল হাতে নিয়ে ছুড়ে দিচ্ছো
ভীষণ রহস্য বুকে নিয়ে উড়ে যায় সমুদ্রশরীর।
ধরে নিচ্ছি তিন তলা বাসার ছয় তলার
কোথাও তুমি নেই—
আকাশের বিপরীতে সাঁতার কাটে রুপোলি নক্ষত্র।
যে গলিতে হারিয়ে যায় তোমার শরীর
গভীর হলে অন্ধকার মুছে যায় পৃথিবীর সবুজ—
এই শহরে এখন তুমি নেই এই শূন্যতায়
তীব্র যানজটে আটকে থাকে হলুদ মেঘ।
এখানে জলে কে আঁকে তোমাকে?
বেদনার পুষ্ট দহনে হৃদয়ে উড়ে সংখ্যাহীন সরীসৃপ,
যেহেতু তুমি নেই তোমার গলিতে
কিংবা পরিচিত দেয়ালে—
এখানে জলে জলে তুমি হও বিস্তৃর্ণ সুন্দর।
তুমি আছো এখানে
নৈঃশব্দ্যের হৃদয় হতে ঝরে পড়বে দুপুরের অলস
আমি পাহাড়—চিরকাল তোমার অপেক্ষারত
তুমি মেঘ—প্রেমের তৃষ্ণা বাড়িয়ে চলে যাও
দূর দূর অতিদূর চিরকাল এখানে
ঝরনা হতে কে ঝরে?