ও ভাঙন, কাকে ভাঙতে এসেছো তুমি
যে ভেঙে গিয়েছে না কি যে ভেঙে যাবে?
দহনের অধিক দহন নিয়ে
ভাঙনের অধিক ভাঙন নিয়ে
জ্বলেছি
            ভেঙেছি
ভেঙেছি
            জ্বলেছি
মহাকালের বিশালতা স্নায়ুর ভেতরে নিয়ে
নিজেকে নিক্ষেপ করি—হে আজন্ম পাপ আমার
আঙুলে গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো বসন্তের
আশায় অথচ কোকিলের সুর শোনার উদগ্র বাসনায়
তৃষ্ণায় মরে গিয়েছে গিয়েছি সোনালি স্বপ্ন।


যেন পৃথিবীর সব সূর্যমুখী ফুটেছে তোমার ঠোঁটে
আকাশের সব রঙিন সৃষ্টি করছে বিচিত্র রঙধনু
তোমার শরীরে দুরারোগ্য ব্যাধি নিয়ে আরও কিছু
মুহূর্ত বেঁচে থাকার বাসানায় বাসনার শেষ কোথায়?
ভুল পথে চলে যেহেতু এসেছো আমাকে ছুঁয়ে দাও
যেমন করে জ্বর এলে মায়েরা হাত রাখে কপালে
কতদিন খুঁজতে গিয়ে ট্রেন ছেড়ে যেতে যেতে
সময়ের শরীর হতে জন্ম নেয় বিচিত্র সরীসৃপ।


অজস্র দিনের আলোয় তোমার নৃত্যের ঝংকার
ভেদ করেছেলো আমার অন্ধকার; কুয়াশার শহরে
উঁকি দেওয়া সূর্যের আলোর মতোন আজও তোমাকে
পাই হৃদয়ের রেফ্রিজারেটরে; আজও স্নায়ুর গলিতে
বৃষ্টি হলে ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে থাকি সেই আমি সেই
বালক—অভিমান বুকে নিয়ে কোথায় হারালে?


ও দুঃস্বপ্ন, কাকে এসেছো রাত্রি জাগাতে
যে রাত জাগে না কি যে রাতকে জাগায়?