যে তোমাকে পেয়ে যাবে ঘ্রাণের মতো খুব সহজে
সে কি সংখ্যাহীন রাত্রি জেগেছে তোমাকে পাওয়ার জন্যে?
সাধনায় সাধনায় পুড়েছে বুকের পশম
আশায় আশায় ক্ষয়েছে আমার যৌবন
শুধু তোমাকে ভেবে ভেবে পুড়েছি সকরুণ অগ্নিতে।


কেনো তোমাকে পাবো না এইসব শীত রাতের রাস্তায়
যখন স্নায়ুতে তুমি ছাড়া অন্য কিছুই নেই?
কে আর এমন করে রোজ রোজ হবে ক্ষয়
কে আর এমন করে বাজাবে মুরলী অক্ষয়
কে আর এমন করে নিজেকে করবে অপচয়
তবুও কেনো তোমাকে হারানোর এত এত ভয়?


তোমাকে আমি কেনো পাবো না, নারীসত্তমা?
করতলের গাঢ় অন্ধকারের বিদীর্ণ দর্পণে তোমাকেই দেখি
যখন যেখানে যাই শুধু তোমাকেই হৃদয়ে টের পাই সুতীব্র
দুপুরের কোনো এক চায়ের কাপে তোমার মুখ ভেসে উঠে
উত্তপ্ত দুধের সরের মতো কেনো তুমি এত প্রকট হও?


মানুষ কীভাবে এতটা ভাগ্যবান হয়
কীভাবে হঠাৎ করে পেয়ে যায় জেগে উঠা চরের দখল
ওগো সন্ত, তুমিহীন কীভাবে কাটবে আমার অখণ্ড বসন্ত
তুমিহীন কীভাবে গাঢ় হবে কবিতার সাথে আমার প্রণয়
ঘড়ির কাঁটা বেজে চলছে ঘুমাও ঘুমাও দেবি ধরাধামে
তোমাকে পাবো না এই শঙ্কায় শীতেও শরীর যাচ্ছে ঘেমে!