অভিশপ্ত রজনী, গাঢ় অন্ধকার, ঘোর অমানিশায়
যখন নিস্তব্ধ শশ্মান,
চীতার আগুন নিভু নিভু প্রায়
উত্তপ্ত মাথার খুলিটা পরে আছে ছাই সমেত।
পুরোটা কংকাল জুরে উৎকট পোড়া গন্ধে ভরপুর,
আত্মহনন কারিনী একবিংশী যৌবনার লকলকে মাংস
পোড়া গন্ধে তবুও কি কোনো অপসরীর সুঘ্রাণ পাও?
নাকি কল্পনায় আঁকো পিশাচরুপী প্রক্তনের ভোগে
ছুড়ে ফেলা
রক্তাক্ত নীলাভ খোলা চোখী মাংস পিন্ড....
ফাঁকা ছাঁদ হতে পতিত কোনো দেহের অশরীরী আত্মার
প্রতিশোধ স্প্রিহায় তোমার হৃদপিণ্ড কি
এতটুকুও ভয়ে ভয়ে কেঁপে ওঠেনা...?
তুমি কি স্বপ্নে দেখোনা? পরিত্যক্ত করিডোরে  
সুন্দরী যৌবন দীপ্ত যুবতীর থ্যাতলানো মুখ থেকে
ঝাড়ছে রক্ত,
বুকের বা-পাশের নরম মাংস চিরে গেছে
যেভাবে চিরে গিয়েছিল হিংস্র শকুনের নখের আচরে
একাত্তরে বদ্ধ ভূমির শবদেহ গুলো।
তুমি কি দেখোনা পোঁকে খাওয়া মনিহীন দু,চোখ থেকে  
কলকল করে কালো রক্ত গোলাপি গাল বেয়ে মিশেছে
বুকের ডান পাশের নরম মাংসে, যেখানে ছুয়েঁ ছিলো
বুভুক্ষু ভীতিকর পিশাচের নিষ্ঠুর ঠোঁট।
তুমি কি ভেবেছিলে প্রেয়সীর শেষ হৃৎস্পন্দনে
বেঁচে থাকার কোনো আকুতি ছিল কিনা?
ছিলনা... শুধু ছিলো একবার ভুলবোঝা প্রেমিকের
প্রশস্ত বক্ষে জরিয়ে না নেওয়ার আক্ষেপ,
হয়তো একটু শান্তিতেই বন্ধ হতে পারতো হৃৎস্পন্দন।
কিন্তু হায়! তাও কি সম্ভব ছিলো?
প্রেমিক সে তো দুষ্কৃতকারীদের বোমায় বিস্ফোরিত ছিন্নভিন্ন দেহ নিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে তার আগেই
চিতায় পুরে আঙ্গার হওয়ারও সুযোগ পায়নি বেচারা।
যদি ঘুমের আবহে দেখো, প্রেতদেহী প্রেতাত্মা অশরীরী প্রিয়তমা তোমার কাঁধ ছুয়ে ইশারা দিচ্ছে, কিছু বলতে নড়ছে পোড়া ঠোঁট, তুমি কি ফিরে তাকাবেনা?
হে পরিশুদ্ধ, লজ্জিত আত্মা তুমি কি শিহরিত হয়ে পালিয়ে যাবে?  
তুমি কি ভয়ে বিহ্বল হবে? নাকি সান্তনা দিতে মাংসহীন হাত চেপে ধরে তোমার কণ্ঠনালীতে টেনে ধরবে,
আর বলবে আমার কন্ঠ ছিড়ে ফেলো, আমার শিরা উপশিরা দাত দিয়ে কামরে যতখুশি রক্ত পানে তৃপ্ত হও,
তবেই কি সুখি হবে অশরীরী আত্মা?