জানি তুমি আসবেনা এই পথে,
তার পরেও দাড়িয়ে থাকি নিস্পলক দৃষ্টিতে।


জানি তুমি হাত রাখবেনা এ হাতে,
তারপরেও তা বাড়িয়ে একা একা ভিজি বৃষ্টিতে।


তুমি কি জানো, হাঁটতে হাঁটতে আজও আমি
দাড়িয়ে যাই সেই বুনো পথের বাঁকে।


সেই গাছটি কি মনে পড়ে তোমার?
যাতে সখ করে আমার নামটি দিয়েছিলে এঁকে।


জানো, আমি আজও সেখানে গিয়ে খুব কাঁদি,
সেই ফেরিঘাটের পোটেতে বসে।


তোমার অস্থিত্বের ছোঁয়া আমি এখনও পাই,
সেই পাথরেতে হাত ঘষে।


সেখানে গিয়ে বসলে আমার পিঠে তোমার উপস্থিতির ঠেস অনুভব করি।


হটাৎ করে সামনে পড়ে থাকা কোনো একটা পাতা তুলে তোমার দেওয়া কাগজ ভেবে পড়ি।


কখনো কখনো তো মনের অচিরেই ভুল করে ডাকি "ওই শোননা"


উত্তর পাইনা আমি বুক ফাটে কষ্টে
ধেয়ে আসে প্রবল কান্না ।


প্রতি সপ্তাহে ঘাটে যাওয়ার সেই নিয়মটা এখনও আমার আছে, যেতে হয়না দেরি।


কিন্তু এখন আমার হাতে তোমার হাত নয়
থাকে কলম আর ডাইরি ।


যখন তোমার শূন্যতা আমায় খুব করে কাঁদায়
তখনি ডাইরিটা খুলে বসি ।


তোমার স্মৃতির যত দুঃখের ফালে
ডাইরির পাতাটারে চষি ।


লিখি শত শত বিরহে ভরা মোর অন্তরের কথা ।


কিন্তু কেউ নেই এমন
যে বুঝবে আমার এই মারণ ব্যাথা।


তাই আবার ঘেঁচে দিই সব
ছুঁড়ে ফেলি নদীর জলে ।


ভাসতে ভাসতে যায় কিছু দূর
ডুবে যায় গভীর তলে।


চিন্তা কোরোনা তুমি আসবোনা আমি আর ফিরে
তোমার হাত ধরে বলবোনা আর "ওগো জান"।


তোমার দেওয়া মিথ্যা আশ্বাসের মতো আমিও গেলাম হারিয়ে, নদীর বানে দিলাম ভাসিয়ে আপনার প্রাণ ।।।