মধ্যাহ্নে ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক দাঁড়ায় গৃহস্থের দুয়ারে
ফটকে লেখা প্রবেশ নিষেধ, আপনার পরিচয় দিন
আক্ষরিক জ্ঞানহীন, ঢুকে পড়ে ভেতরে।
সর্বাঙ্গের ক্ষুধার ছাপ মুখমন্ডলে
এলোমেলো চুল, ঘর্মাক্ত ছেড়া জামা।
গৃহস্থের পাখার শীতল বাতাস, এসি, কোমল বিছানা,
ডাইনিং টেবিল, গোসলখানা
এমন কি বারান্দাটাও ব্যবহার করতে চায় না।


উঠোনের কোণে গাছের নীচে ধূলিরাসনে বসে
হাঁফাতে হাঁফাতে মাগে, মাগো একমুঠো ভাত হবে?
বৃক্ষের ছায়াটুকুও তাকে দিতে চায় না
বাড়ির শোভা নষ্টের জন্য।


ক্রোকারিজের প্লেট-গ্লাসের বাহারী ডিজাইন
ভিক্ষুকের ক্ষুধা নিবারণ করে না।
ভাঙা প্লেটে একমুঠো ভাত আর টিনের গ্লাসে
একটু জল পেলেই মহা খুশি!


খোদার দেওয়া সময়ের অনেক মূল্য
বাতাসের, রোদ্দুরের, বৃষ্টির, বৃক্ষের ছায়ার
বৃক্ষের ছায়া, সেটাও তো কারো নয়।
বাতাস নিয়ম ভঙ্গ করে না
সূর্য লক্ষ দিনের মধ্যে একদিনও উল্টো দিকে উদিত হয় না।
চন্দ্র, তারা, গাছ-পালা, পশু-পাখি কেউ ভুল করে না
শুধু বিবেকবানরাই ভুল করে
নিজকে পাল্টে ফেলে,
রাগে, দুঃখে, অপমানে, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, শক্তি,
অপশক্তিতে, স্বেচ্ছাচারিতায়।


সময় এলে আমাদের দশা
বৃক্ষতলের ভিক্ষুকের চেয়েও করুণ হয়!
সময় থাকতে একটি বারও মনে পড়ে না!


রচনা : ২৭.০৩.২০০৮ খ্রিঃ