বাস করো সমতলে অনুভব করো নাকো ক্লেশ,
কি সুখ পাও গিয়ে ঝর্ণা সাগর পাহাড়ের দেশ?
থাকো সুনিবিড় সবুজ ছায়া ঘেরা গাঁয়ে হরষে,
হৃদয় শীতল করে দেয় মুক্ত বাতাসের স্পর্শে।
সমতলে নেই সাগর পাহাড় উত্তরণের ঝামেলা,
কি প্রশান্তি পাও দেখে তটিনীর তরঙ্গের খেলা?


দুর্বোধ্য পথঘাট সকল জীবন উপকরণ অপ্রতুল,
তোমার দেশে সবকিছু সহজলভ্য নেই তার তুল।
বর্ষায় ঘন বর্ষণ দেখো, শোনো তার কলধ্বনী,
কি সুখ পাও; ঝর্ণার কাছে আছে কিসের খনি?
তাতে তৃপ্ত নও ষড়ঋতূর মোহনীয় রূপ লাবণ্যে,
ফসলের মাঠে, মাতাল বায়ু, পাখির গান অরণ্যে?


বন্যায় তোমার মায়ার বসত ভিটা শৈশব স্মৃতি-
মুছে দিয়ে যায় হৃদয়ের বন্ধন, কতো সম্প্রীতি।
তবু কেন বার বার কিসের মোহে আসো ফিরে?
ওই ধুধু বালুকাময়, জলের দেশ সাগরের তীরে?
পাহাড় সাগর ঝর্ণায় কেনো তোমার হৃদয় টানে?
তুমি থাকো স্বর্গে ওই দেশের মানুষ তা-ই জানে।


ওই বিক্ষিপ্ত ভূমিতে খুব বেমানান তোমার বিচরণ,
যথোচিত সাগর নদী ঝরণা পাহাড় দেখে পলায়ন!
সাময়িকের সৌন্দর্য অবলোকনে চিত্ত আকৃষ্ট করে,
কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে প্রত্যাবর্তন করো ঘরে।
সাগর, পাহাড়, ঝর্ণা দেশের কষ্টের কথা অজানা,
রূপমাধুরীর পিছনে লুকায়িত কতো দুঃখ-বেদনা!