আমি জানি কখনো ভালবাসোনা তুমি আমায়
তবুও তোমার প্রণয়ের খোয়াবে বিমূঢ় হই
নীলাম্বরের বক্ষে মধ্যাহ্নের তৃষ্ণার্ত উড্ডিম বলাকার মত
শুধু চেয়ে থাকি তোমারই প্রত্যাশায়।
প্রত্যাশার বেদীমূলে কেবলই গড়ে দুঃখেরার্ণব
বক্ষমূলে চিতলােলিত হয় রোদনের প্রবল ঢেউ।
তখন মরুতের পালকে উড়ে যায় কৃতস্ন সুখ
এভাবে নিঃস্বাসকে লুকিয়ে চিরদিনের মত
হারিয়ে যাব তোমার অলক্ষ্যে, গভীর একাকী
চপল মনকে ব্যাহত রেখে নীরব চরণে
অনূভুত হবে না, কখনাে কেউ এসেছিল
চেয়েছিলাম তোমায় অন্তরঞ্জনের তরে মাগনে
ফিরে তাকাবার সময় হয়নি তােমার।
ঠিক আছে থাকব না হয় চিরকাল মূক হয়ে!
রাতে সদ্য ফোটা শিউলীর ফুলের মালা গাথি তােমার জন্য
নীলাকাশের নীচে সবুজ তরঙ্গের বুকে
বলাকার ডানায় উড়ে
চাদিমা রাতে উন্মুক্তাকাশের নীচে একাকী
কত কবিতা লিখি তোমার জন্য
কিন্তু তুমি তা গ্রহণ কর না
আজ তোমাকে দেওয়ার মত আর কিছু নেই
কদক্ষরে লেখা এ চিঠিখানি দিলাম
জানি আমার এ অনাড়াম্বর চিঠিখানি
ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে!


রচনা : ০৭.০৬.১৯৯৩ খ্রিঃ
কাব্যগ্রন্থ : 'প্রথম বসন্তে ফোটা ফুল'
প্রকাশ : ডিসেম্বর-২০০৭ খ্রিঃ