ফিলিস্তিনের শিশু


ফিলিস্তিনে পড়ছে বােমা, কাঁপছে বাড়ি-ঘর
নিজের বাড়ি, নিজের আকাশ, আজ যেন সব পর।
বােমার জ্বরে নিজের আলয়, যায় নাতো আর চেনা
আমার বুক করল খালি, জালিম জারজ সেনা!


ঘর নিল, বাড়ি নিল, কেড়ে নিল স্বজন
ভিখারীর মত দিকভ্রান্ত, অবুঝ ক ভাই-বােন।
আমার সামনে আমার বাবা বােমায় গেল উড়ে
মা আর ছােট্ট বােনকে নিয়ে, মরি পথে ঘুরে।


আমি ছিলাম আদরের দুলাল, নিমীষে হলাম অনাথ
হে খােদা তুমি ছাড়া, কেউ নেই আমাদের সাথ।
আমার মায়ের সামনে আমার বােনের বুকের 'পর
জারজ সেনা উঠে দাঁড়াল, দেখে চােখ হল পাথর।


কােথা যাব, কি খাব, নাইতো কিছু জানা
কাঁচের মত চূর্ণ আমার কচি হৃদয়খানা।


বাংলাদেশের নারী


মাহে রমজান শেষে এবার এল খুশির ঈদ
খােকা-খুকু কারো চােখে, নেই যেন আজ নিঁদ!
ঈদ উপভোগ করতে হবে, অনেক কিছু চাই
খােকা-খুকু যেমন তেমন, তার মা তাে বেজায়।


ড্রেস, কসমেটিক্স লাগবে, আরও লাগবে গয়না
বাড়ি গেলেই মুখ গােমড়া, কথা আর কয়না।
গিন্নী আরও বাচ্চাদেরকেও দিয়ে যান উস্কানী
বাবার কাছে এটা বল্, ওটা বল্, লাগবে এক্ষুণি।


বিকালে যাবেন পার্লারে, দিলেন তিনি শুনন
ব্যবসা খারাপ, পকেট খালি, টাকা নেই অগুনন।
আভাস পেয়ে কর্তা এখন পড়েছেন মহা চিন্তায়
অর্থাভাবে তাে যায় না করা, পরের টাকা ছিনতাই।


মাথার উপর ঋণের বােঝা, তা বােঝেন না বিবি
ফমূর্লা সব বের করেন, দেখে দেখে টিভি।
আরে ভাই সংসার তো নয়, এ যেন এক জেল
না না বলা ঠিক হল না, এ নিষ্ঠুর এক সেল!


গিন্নীর চাপে কর্তা এবার দিলেন পলায়ন
ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে তার অশ্রুসজল নয়ন।
বলি হে বাংলাদেশের কতিপয় নারী, এত বিলাসী কেন?
প্রকৃত সুখ চাও? ফিলিস্তিনের শিশুকে মনের মাঝে আনো!


(আজ সেহরির পর লেখা)