কামড় দিয়ে দেখবো মোরা
যে ঢ্যাপ গুলো রাঙা,
সেগুলোকে ফেলবো চেলে
যেদিক পাব ডাঙা।
লোকে বলে রাঙাগুলো
নাকি কুকুরে ঢ্যাপ,
কালো গুলো তুলবো, তোরা
একাকার দিবি খ্যাপ।
খানিক দূরে গিয়ে পাবো
একটি কলার ভেলা,
ডালাটি তার 'পরে রেখে
করবো মোরা খেলা।
কাকচক্ষু জলেতে ডুবে
তুলে আনবো শিঙাড়া
সেই ডুবেতে বিলের পানি
পড়বে সবই নাড়া।
তারপর ভেলা বাগিয়ে নেবো
দূরের পদ্ম বনে,
মালিক এসে ভেলা নিল কে!
ভাববে মনে মনে।
ভেলার ফাঁকে জড়িয়ে যাবে
পদ্মের বুড়ো ডাটা
ঠেলতে গিয়ে হোঁচট লেগে
কেলিয়ে যাবে গাটা।
গায়ের জামা খুলে তাতে
রাখব পদ্মের চাকা
এলোমোলো ছিড়বো মোরা
দেখবো না ফুলো-পাকা।
পদ্ম বনে ঘাপটি মেরে
গুনগুনিয়ে গাবো গান
পদ্ম ফুলের মালা গেঁথে
সবারে করবো দান।
বাড়ির কথা যাবো ভুলে
শুকিয়ে যাবে শাক্
ওই কূলে দাঁড়িয়ে কেউ বা,
জোরে জোরে দেবে ডাক।
ডাক শুনে চমকে উঠে,
ভয়ে ফিরবো বাড়ি
আমাদের দেখে মা দেবেন
আদর মাখা ঝাড়ি।
বকা শুনে অভিমানে
দুপুরে খাবো না ভাত
অবশেষে মা আবার
মাথায় বুলাবেন হাত।
মায়ের আদর পেয়ে তখন
ফেলব আবার কেঁদে
আজ বিকেলে পিকনিক হবে
কলমি শাক রেঁধে।
পান্থপাড়া, শার্শা, যশোর।
১৫.১১.১৯৯৬ খ্রিঃ