ওগো রূপবতী কন্যা তোমার রূপালী নদী
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের তালে বয়ে যায় নিরবধি।
তোমার রূপের বর্ণণা লিখে হয় না তো শেষ
মুগ্ধ হয়ে তোমার পানে চেয়ে রই অনিমেষ।


বাগিচায় রঙিন ফুল দেখে আমি হয়ে যাই নির্বাক
দিবা-নিশি মিষ্টি সুরে হৃদয় ভরায় পাখির ডাক।
তোমার স্নিগ্ধ-কোমল জ্যোৎস্না উদাসী মেঘের সাথে
রাতের বেলা জেগে দেখি লুকোচুরিতে মাতে।


রঙিন মেঘেরা পাল তুলে রোজ তারা কোথা ধায়?
কেনো ফেরে না বলতে কি পারবে কেউ আমায়?
পাহাড়গুলো মিশে আছে আকাশের কোল ঘেষে
মনের যত কষ্ট ভুলি ঝর্ণার কাছে এসে।


তোমার সবুজ-শ্যামল বরণ মনটা মাতিয়ে তোলে
আমি কর্ম ক্লান্ত হয়ে ঘুমাই তোমার কোলে।
আমি গ্রীষ্মকালের মধ্যাহ্নে যখন ঘরে ফিরি
আদুল গায়ে বারান্দার মাটিতে দিই গড়াগড়ি।


শীতল পরশ আমায় করে নতুন জীবন দান
আমার কাছে স্বর্গ তুমি, তুমি মায়ের সমান।
কি মায়াময় পরিবেশ, রূপে তুমি অনন্যা
এই ধরার মাঝে তুমি, রূপে এক রাজকন্যা।


পান্থপাড়া, শার্শা, যশোর।
১২.০৮.১৯৯৬ খ্রিঃ