কখন কোন্ অজান্তে তুই চলে যাস্ উড়ে উড়ে
খাঁচাটা তো পারে না যন্ত্রণায় কাতরে মরে।
যাস্ সরিষা বনে, বিলের ধারে, পাখির ডানায়
ডাংগুলি, মার্বেল, পানি সেচে মাছ শিকার খানায়।


গরু গাড়ি চেপে দূর মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলা
মনের মাঝে মায়ের ভয়! বাড়ি ফেরা সাঁজবেলা।
মাছরাঙার গর্তে সবার আগে হাত সন্তর্পণে
বিলের তলে ফুটবলের ঢুপঢাপ্ শব্দ কানে।


বাবা খেঁজুর গাছ কাটত চোমরের আশায় নিচে
অপেক্ষারত, ভুলে গেছিস তার স্বাদ সব মায়া মিছে।
দাদি রস জ্বালাতো উঠানে জেলেহাঁড়িতে
হাতে কাঁঠালের পাতা, বন্ধুরা বসতিস সারিতে।


নলেন গুড়ের স্বাদের জন্য অধীর অপেক্ষারত
আজও সে গুড়ের ঘ্রান পেতে মন উদগ্রিব সতত।
সে সব কথা চির ভাস্বর মনের পাতায় পাতায়
আজ তার তীব্র টানে আর রয় না পাখি খাঁচায়।


দাদুকে মাটির খেলনা বানিয়ে দিতিস উপহার
শৈশবে আশির্বাদপ্রাপ্ত হয়েছিলি বার বার।
দাদু তো তোকে ভুলে গিয়ে স্বর্গে আছো বেশ
আজ তুই সবার হাতের খেলনা, খেলার হয় না শেষ!


রচনা : ১৬.১২.২০১৪ খ্রিঃ