বিপদে যেনো নিজকে তুই শামুকের মত গুটাস না
নিজকে পোড়াস অকুন্ঠ, আগুনের কাছে হারিস না।
জুতা সেলাই থেকে রাজকার্য সব করিস সম্পাদন
উচ্ছ্বল কিশোরের মত তুই রইবি দূরন্ত উদ্দীপন।


শামুকের কভু আকাশের সাথে হয়  নাকো  পরিচয়
রয়ে যেতিস শেওলা-কাদায় কোনো নির্জন জলাশয়।
হয়ত ঝাটা-বালতি হাতে  নিয়ে  ঘুরতিস অলিগলি
কিংবা দূর্বিসহ সময়ের কাছে নিজকে দিতিস বলি!


তোর ভেতরে আগুন! দুঃস্বপ্নকে পুড়িয়ে করে ছাই
দুঃখ তোর মুখপানে তাকাতেও সাহস না পায়!
হাসি-আনন্দে অশ্রু নামুক তোর চোয়াল বেয়ে
দুঃখ তোকে টলাতে পারবেনা যতই আসুক ধেয়ে।


ভাবনার বিষয় এটা কী কোনো শুদ্ধ মনের পরিচয়?
দুঃখ-কষ্টকে হাসি মুখে মেনেই, শেষে আসে জয়।
আত্মত্যাগেই সবার কাছে তুই হবি প্রিয়ভাজন
প্রাপ্তিতে চোখে চৈতালী রোদ, অপ্রাপ্তিতে নদী ভাঙন।


কোনো একদিন পাল্টে যাবে তোর  মনের  রূপ
নির্জনতা-ই জানবে শুধু একা কিভাবে রইবি চুপ!
তোর এমনই নিরবতায় কেউ যদি বলে জঘণ্য!
তাহলে বুঝবি বাঁচার সংজ্ঞা পাল্টে হয়েছে ভিন্ন!


রচনা : ২৯.০৯.২০১৪ খ্রিঃ