কাব্যদেবী মান করেছে! আসে না মোর ঘরে!
কলম-খাতা তাকে তোলা, ধূলোয় যাচ্ছে ভরে!
হয় না আর কাব্য লেখা, ভেবে ভেবে পেরেশান!
যতই করি অনুনয় তবু, শোনে না তো আহ্বান।


কতদিন হল দেখা নাই, ঘুমে কাটে বেলা,
এবার এলে কাজের ছুতোয় করব না আর হেলা!
এবার যদি আসে একবার মোর ছোট্ট কুটিরে,
কাদম্বিনীর ছায়া দেব চৈতালী দুপুরে।


নিম ফুলের গালিচা দেব গাঁয়ের পথ জুড়ে,
পাখির মিষ্টি সম্ভাষণে মুখরিত দুই ধারে।
প্রজাপতির রঙিন পাখায় বাতাস দেব দেহে,
মান ভেঙে ওহে প্রিয়, এসো আমার গেহে।


তোমার গলে পরিয়ে দেব নন্দিনী ফুলের মালা,
জোনাক বাতির রোশনী দিয়ে গড়িয়ে দেব বালা।
শিংশপা ফুলের পাপোষ দেব, লেবু ফুলের শয্যা,
কুমড়ো ফুলের ঝাড়বাড়িতে করব আলোক সজ্জা।


কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে জ্বলবে আতশবাজি,
মান করোনা আমার বাড়ি এসো তুমি আজই।
শিশিরদানার নূপুর দেব, তুলতুলে ওই পায়,
হৃদয়খানা রাঙিয়ে দিতে ঘুরাবো শ্যামল গাঁয়!


ভেজামাটির সোহাগ দেব, কচি ঘাসের চাদর,
পরম পরশ বিলিয়ে দেব করব না অনাদর।
জড়িয়ে দেব হলদে পাখির পালকের উত্তরীয়,
নতুন ধানের সুবাস দেব আসতে ভুলো না প্রিয়।


সজনে ফুলের নোলক দেব, শশা ফুলের টিপ,
ঢেঁড়স ফুলের কানের দুল, মান্দার ফুলের ক্লিপ।
দামিনীর আলোর বিছা দেব, বেণীতে গন্ধরাজ,
ভুলে গেছ আমার বাড়ি, অভিমান ভাঙো আজ।


কোকিল ডাকা বিহান দেব, জোছনা ধোয়া রাত,
রাঙা গোধূলির মেঘের তলে কাটাবো তোমার সাথ।
আসবে তুমি আমার বাড়ি, চেয়ে আছি উন্মুখ
নিত্যদিন দেখব আমি শিশু কবিতার মুখ।


রচনা : ১০.০৪.২০১৫ খ্রিঃ