আসার সময় চার দেয়াল ছিল তোর সাথী,
মনে আছে কী দেখেছিলি? অজ্ঞাত আঁখি পাতি!
কেন এলি? না হয় অজ্ঞাত রয়ে যেত সব?
পথ-ঘাট, আলো-ছায়া, পাল্টে যাওয়া বৈভব!
ভালো হত, অঙ্কুরেই মিশে হলে মৃত্তিকা!
আজ কী বা পেলি? সবকিছু যেন ফিকা!


শুধু অকারণ এই আসা যাওয়ার পালা,
সময় শেষ, লক্ষ্যচ্যূত, অন্তর ঝালা পালা!
কেউ কী গুনছে তোকে পাওয়ার প্রহর?
সে অব্দি পৌঁছা বড়ই দূরুহ ব্যাপার!
এখানে রাতকে চাঁদ এখনো দেয় ধুয়ে
শিশির ফোঁটা ঘাসের ডগায় পড়ে নূয়ে ৷


ঊষা আকাশ এখনো ঝলমল তাকায়,
মধুর কণ্ঠে বিহগকূল গায় শাখায় ৷
আমের বনে ম ম গন্ধে ভরে বিকাল বেলা,
আনমনে মধুকরের মধু আহরণের খেলা ৷
সব আছে বহাল, শুধু তুই থাকতিস না একা,
তুইবিহীন এ পৃথিবী কেমন? যদি যেত দেখা!


যদি অঙ্কুরেই ঝরে যেতিস সেই অখ্যাত ক্ষণে!
অদ্যাপি তার ছায়া কী থাকত মা বাবার আননে?
কনিষ্ঠরা তোর মুখটাকে কী কষ্ট করে-
কল্পনা থেকে চোখের পাতায় আনত ধরে?
নেভা প্রদীপ হাতের আড়ালে কে করত রক্ষা?
ঝড়ের কবলে ডুবন্ত তরী কে করত সুরক্ষা?


জানি না, কী কারণে এখনও আছিস এখানে?
তোর প্রয়োজনে? না কী পৃথিবীর প্রয়োজনে?


১৫/০১/১৫