শেষ বারের মত এই এলাম ,
বিব্রত সম্পর্কের দূরালাপের মত
অসহায় ভাঙা ভাঙা কথা আর
অতি আদরের ঘন ঘটায় কান্না লুকানো দুই দিন।


আমার শরীর থেকে খসে গেছে রঙিন পোশাক,
শাদা রঙের দূরত্বে গেটের বাইরে অভিমান নিয়ে বসে আছে নতুন জীবন।  
এ বাড়ির সব চেনা অচেনার হাসি দিয়ে ইতস্তত ছুঁয়ে নিচ্ছে আমাকে,   ইউক্যালিপটাস গাছটা নেই, রাতকান্নার সেই বারান্দার
গ্রিল ছুঁয়ে চুপি চুপি বলি, ভাল আছি, ভাল আছি , ভাল আছি,
ইউক্লি ভাই আমার, দেখো কেমন দাঁড়িয়ে গেছি নিজের পায়ে!


খুব জানি যে হাত মাথায় রেখেছে স্নেহের আকাশ
মুহুর্তে দেখাতে পারে শেকলের ঝন ঝন,
কিন্তু ওরা ত  জেনে গেছে আমি এক আহত পুরুষের রক্তবীজ,
নামাবলী খসিয়ে দগ্ধ করেছিল যাকে আমি তার আত্বার দমিত আক্রোশ,
মুহূর্তে জ্বালিয়ে দিতে পারি ঐতিহ্যের পুরানো ইমারত,
ক্ষমতালগ্ন বংশের তালিমারা রুপালি সুতো, অহংকারের লক্ষ্মণরেখা,
শিখে গেছি প্রাচীন চতুর খেলা টাকা আনা পাই,
বেলজিয়াম আয়নায় তুরীয় ঘুষি মেরে  আমিও বলতে পারি ,  
থাপ্পড়ের বদলে থাপ্পড়, আমার জীবন সে শুধু আমার!
ভুলিনি কিছুই একদিন তোমরাই  
সিঁথি থেকে মুছে দিয়েছিলে রঙ মশালের সব আলো ।  


৩১/৭/২০১৪