টোল পড়া সেই কপোল দুটো টানছে কাছে কেনো!
লিপিষ্টিকের কালারটাতো গোলাপ পাপড়ি যেনো,
চোখ দুটোতে কি জাদু হায় কেমন করে বলি,
কালো কেশের মাতাল ঘ্রাণে পিছু পিছু চলি।


এতেই বুঝি ভালোবাসার ঘন্টা হৃদে বাজে,
সত্যি করে বলছি সখি মন বসেনা কাজে।
পড়বে শাড়ী, খোঁপায় বেলি, বসবে শরীর ঘেসে,
লক্ষি সোনা ভালোবাসি বলবে মুচকি হেসে।


নাইবা পেলে সাতরণী হার মেঘ ডুম্বুর শাড়ী,
কোটি টাকার গাড়ী কিংবা ডুপ্লেক্স এক বাড়ী।
পার্লারে আর নাইবা গেলে মেকি সাজা সাজতে
ডিসকোতেও গেলেনা আর কোমর ধরে নাচতে।


পূর্ণিমা রাত তারার মেলা লাগবে কতো ভালো
ফুল কাননে বসবো দু'জন জ্যোৎস্না দিবে আলো
দুই হৃদয়ের মিলনেতে ফুটবে ফুলের কলি,
অমোঘ প্রেমের মধু খেতে হলাম নাহয় অলি।


মুখচন্দ্র রাঙবে লাজে চাঁদ লুকাবে মেঘে
প্রণয় বাতাস বইবে তখন শতো অশ্ব বেগে
উথাল-পাতাল ঢেউয়ে তরী ভাসবে নানান ঢঙে
রাঙিন হবে রাতটা তখন ভালোবাসার রঙে।


বিলাস বহুল গাড়ী বাড়ী নস্যি হয়ে যাবে
হৃদয় ভরা ভালোবাসা আকাশ সমান পাবে।
বুঝবে তখন সুখটা কোথায় অঙ্ক নাহয় কসবে
কুঁড়ে ঘরে অজোর প্রেমের মিলন মেলা বসবে।।



রচনাকালঃ
৯ নভেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
ঢচিশাভি।