কি করে থাকো বলো তো?
নীরব দীঘির মতো!
দক্ষিণা হাওয়া বইছে দেখো তাল-মাতাল,
অথচ তুমি থাকো যৌবনের খরায়-
এমন হালে কি জীবন চলে?
কত-শত বিহঙ্গ ছোটে পুষ্পের দলে।
শাখায় শাখায় কচি নতুন পাতা,
পাগলা হাওয়া উড়ায় তরুণ-তরুণীর ছাতা।
নববধূর বুকের আঁচল উড়ে কেশের মতন,
কবি কাগজ-কলম হাতে লিখে যায় ছন্দের তালে।
এমন দিনে কেমন করে,থাকো তুমি চুপটি করে।
কোন ঘোর অমানিশা রেখেছে তোমায়,
বন্দী করে তার ঘরে?
নেমে আসো পুস্পের সুবাসে ধরনীর বুকে,
যেখানে আছে প্রাণ,উচ্ছাস আনন্দ আটপ্রহর।
এসো এসো বাইরে এসো,
থেকো না আর নিস্তব্ধতার দলে,
নেমে এসো মুক্ত বাতাসের কোলে।
ফুলের পাপড়িতে লাগুক নাচন,
দুলুক হৃদয়,উড়ুক আঁচল।
কন্ঠ মিলাও সবার সনে,
শোন জীবনের গান।
আর থেকো না নিষ্প্রাণ।