অতঃপর আমি হাঁটছি-
তুমি কোথাও নেই!
জলে,স্হলে,গগণে,মুক্ত বাতাসে।
থরে থরে নুড়ি স্তুপের বুকে,
অথবা ঝর্ণার অমৃত জলরাশিতে।
কোথাও তোমার পদচিহ্ন নেই!
অতঃপর আমি হাঁটছি-
সবুজ বৃক্ষরাজির সনে কথা বলছি,
নিদ্রিত গিরির পানে বিভোল চিত্তে তাকিয়ে আছি,
নিস্তব্ধ শব্দবিহীন রজনীতে কবিতার কোলে ঘুমিয়ে পড়ছি!
তবুও তুমি নেই,শব্দচরণে নেই!
গোধূলির আভায় নেই,আগুনমাখা সন্ধ্যায়ও নেই।
অতঃপর আমি হাঁটছি-
আমার পায়ের তলার আর্তনাদ,
আমার বুক পকেটে রাখা চিরকুটের আর্তনাদ,
আমার যৌবন উন্মাদনার আর্তনাদ।
তুমি কেবল তুমি, নেই কোথাও নেই!
শূন্যতে পুষ্পশয্যায় শায়িত নেই,
প্রথম প্রভাতে শিশিরস্নাত দূর্বায় নেই!
রবির কিরণ কাচভাঙ্গা রোদ হয়ে আসা উজ্জ্বল আলোতে নেই,
ঝাপসা প্রতিরূপে নেই,কালো মেঘের অন্তরালে নেই।
অতঃপর আমি হাঁটছি-
দিশেহারা ছন্নছাড়া কবি হয়ে,
উদাসীন কবিতার খোঁজে!
তবে কি তুমি প্রকৃতির মাঝেও নেই?
জর্দা ভরা পানে নেই,
বোতল বন্দি গানে নেই!
কোথাও নেই তুমি!